রোববার (১২ মে) দুপুর ১২টায় রাজশাহীর আম নামানোর সময় নির্ধারণের লক্ষ্যে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলার অংশীজনদের নিয়ে মতবিনিয়ময় সভার আয়োজন করা হয়। এ সভায় আম পরিবহন, বাজারজাতকরণ ও সংগ্রহের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে মতবিনিময় করা হয়। সেখানেই এই ‘ম্যাংগো ক্যালেন্ডার’ চূড়ান্ত করা হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন ডিসি শামীম আহমেদ।
তিনি বলেন, রাজশাহী আমের রাজ্য হিসেবে পরিচিত। এর সুখ্যাতি রয়েছে বিশ্বজুড়েই। তবে মৌসুমের নির্দিষ্ট সময়ের আগে বাজারে যেন কোনোভাবেই কেউ অপরিপক্ব এবং কেমিক্যাল মিশ্রিত কোনো আম নামিয়ে বিক্রি করতে না পারে। আর সেজন্যই কৃষি বিভাগের সমন্বয়ে এ ফল পাড়া, সংরক্ষণ ও বাজারজাতকরণ বিষয়ে আজ সভার আহ্বান করা হয়েছে।
তিনি জানান, নির্দিষ্ট তারিখের আগে কেউ আম বাজারজাত করলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সভায় রাজশাহী জেলা প্রশাসক আরও জানান, স্থানীয় গুটি জাতের আঁটি আম আগামী ১৫ মে থেকে পাড়া যাবে। এছাড়া ২৫ মে থেকে সুস্বাদু রসাল আম গোপালভোগ, রানিপছন্দ ও লক্ষণভোগ, হিমসাগর ৩০ মে, ল্যাংড়া ১০ জুন, আম্রপালি ১৫ জুন, ফজলি ১৫ জুন, আশ্বিনা ১০ জুলাই, বারি-৪ জাতের আম ৫ জুলাই, গৌড়মতি জাতের আম ১৫ জুলাই, ইলামতি ২০ আগস্ট থেকে পাড়া ও বাজারজাতকরণ করতে পারবেন।
রাজশাহী জেলার সব আমচাষি, বাগান মালিক, আড়ত মালিক এবং ব্যবসায়ীর ক্ষেত্রেই একই ম্যাংগো ক্যালেন্ডার কার্যকর থাকবে। এছাড়াও বহুল পরিচিত কাটিমন ও বারি আম-১১ সারা বছরই সংগ্রহ করা যাবে বলে জানান।
সভায় রাজশাহীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) কল্যাণ চৌধুরীর সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন) সাবিনা ইয়াসমিন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরে রাজশাহীর প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা মোছা. উম্মে ছালমা, পুঠিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) একেএম নূর হোসেন নির্ঝর, সহকারী কমিশনার (ভূমি) অভিজিত সরকার, রাজশাহী অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ড. তসিকুল ইসলাম রাজা।
এমআই