জানা গেছে, সক্ষমতা বৃদ্ধি ও সীমান্তে নজরদারি বাড়াতে হেলিকপ্টার দুটি ব্যবহার করবে বিজিবি। দেশের সকল সীমান্তপথে মাদকদ্রব্যের অনুপ্রবেশ বন্ধে হেলিকপ্টার দুটি ব্যবহৃত হবে।
বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, পঞ্চাশের দশকে বিজিবি (তৎকালীন ইপিআর) সদস্যদের জন্য ইতালি থেকে একটি পিয়াজ্জিও পি-১৩৬ উভচর বিমান কেনা হয়। বিমানটি সর্বশেষ ১৯৬৮ সালে আকাশে ওড়ে। দীর্ঘদিন বিকল অবস্থায় পড়ে থাকার পর ১৯৭৮ সালে এটিকে তৎকালীন বিডিআর সদরদফতর পিলখানায় স্থানান্তর করা হয়। মুক্তিযুদ্ধের পর বিজিবির (তৎকালীন বিডিআর) বিভিন্ন জরুরি কাজে ব্যবহারের জন্য ১৯৮১ সালে একটি বেল ২১২ হেলিকপ্টার কেনা হয়। বর্তমানে হেলিকপ্টারটি বাংলাদেশ বিমান বাহিনী দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে।
একটি পরিপূর্ণ ত্রিমাত্রিক আধুনিক বর্ডার গার্ড গঠনের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিকনির্দেশনায় ২০১৬ সালে বিজিবি এয়ার উইং গঠন করা হয়। ২০১৮ সালের ১৮ ডিসেম্বর দুটি এমআই-১৭১ই হেলিকপ্টার কেনার জন্য রাশিয়ার একটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বিজিবির চুক্তি সম্পাদিত হয় এবং চলতি বছরের ১৮ ও ২৩ জানুয়ারি হেলিকপ্টার দুটি বাংলাদেশে আনা হয়।
বিজিবির দুইজন বীরশ্রেষ্ঠ ল্যান্সনায়েক নূর মোহাম্মদ শেখ এবং ল্যান্সনায়েক মুন্সী আব্দুর রউফের নামে হেলিকপ্টার দুটির নামকরণ করা হয়। রাশিয়ার উড্ডয়ন ও রক্ষণাবেক্ষণ প্রশিক্ষকদের তত্ত্বাবধানে বিজিবির প্রশিক্ষণার্থীদের হাতেকলমে প্রশিক্ষণের পর গত ৪ মে থেকে হেলিকপ্টার দুটি অপারেশনাল হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
সক্ষমতার দিক দিয়ে এমআই-১৭১ই হেলিকপ্টারের সর্বোচ্চ গতি ঘণ্টায় ২৫০ কিলোমিটার। এটি সর্বোচ্চ ছয় হাজার মিটার উচ্চতায় উড়তে পারে। একসঙ্গে মোট ২৬ জন যাত্রী পরিবহন করতে পারে। সর্বোচ্চ পরিবহন ক্ষমতা তিন হাজার কেজি, রোগী পরিবহন ক্ষমতা ১২ জন। অত্যাধুনিক অটোপাইলট সিস্টেমে পরিচালিত সম্পূর্ণ শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত এই হেলিকপ্টারটি।
এছাড়া আর্মড পারসোনাল ক্যারিয়ার (এপিসি) ও রায়ট কন্ট্রোল ভেহিকলের (আরসিভি) সর্বোচ্চ গতি ঘণ্টায় ১৪০ কিলোমিটার, যাত্রী পরিবহন করতে পারে ১২ জন, জ্বালানি ট্যাংক ২৫৭ লিটার, রয়েছে ব্যালাস্টিক প্রোটেকশন, ব্লাস্ট প্রোটেকশন। গ্রেডিয়েন্ট ৬০ শতাংশ, ফোর হুইল ড্রাইভ। এছাড়া রয়েছে নাইট ভিশন হাইস্পিড ক্যামেরা।