মঙ্গলবার ইউজিসির ২০২৩-২৪ অর্থবছরের শুদ্ধাচার কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে অংশীজন সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার মডেল হিসেবে গড়ে তুলতে তিনি ইউজিসি থেকে প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন।
বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় দক্ষিণ এশিয়ার সমন্বয়ক অধ্যাপক আলমগীর বলেন, পরিচ্ছন্ন ও সবুজ ক্যাম্পাস প্রতিষ্ঠায় প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় নজর দেওয়া উচিত। ইতোমধ্যে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে যথাযথ বর্জ্য ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে পরিচ্ছন্ন ও সবুজ ক্যাম্পাস প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হয়েছে। এ ছাড়া শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় পরিচ্ছন্ন ও সবুজ ক্যাম্পাস প্রতিষ্ঠায় আগ্রহ দেখিয়েছে। তিনি অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়কে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
ইউজিসি চেয়ারম্যান আরও বলেন, পরিবেশ রক্ষায় ‘সিঙ্গেল ইউজ’ প্লাস্টিকের ব্যবহার পরিহার করা উচিত। ইউজিসিতে প্লাস্টিকের ব্যানার, প্লাস্টিকের পানির বোতলসহ অন্যান্য প্লাস্টিক পণ্যের পরিবর্তে পরিবেশবান্ধব পণ্য ব্যবহারকে উৎসাহিত করতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে।
ইউজিসি সচিব ড. ফেরদৌস জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন কমিশনের পরিচালক ড. সুলতান মাহমুদ ভুঁইয়া। কমিশনের উপসচিব ও জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশলের ফোকাল পয়েন্ট মো. আসাদুজ্জামানের সঞ্চালনায় সভায় ইউজিসির কর্মকর্তা, গণমাধ্যমকর্মীসহ সংশ্লিষ্ট ও অংশীজন অংশগ্রহণ করেন।
এমআই