সার্কুলারে বলা হয়েছে, যে সকল বীমা জরিপকারী (ব্যক্তি/কোম্পানি/ফার্ম) নিয়োগ করা হয় তাদের দক্ষ জনবলের অভাবে বীমা দাবি নিরূপণ সঠিকভাবে হচ্ছে না। এ জন্য বীমা জরিপকারী প্রতিষ্ঠানের প্রধান জরিপকারীসহ কর্মরত জনবলের দক্ষতা বৃদ্ধি করা অপরিহার্য হয়ে পড়েছে।
উল্লেখ্য, বর্তমানে আইডিআরএ'র অনুমোদন প্রাপ্ত সার্ভেয়ার বা বীমা জরিপকারী প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ১৪০টি। মূলত বীমা জরিপকারীরাই বীমাকৃত সম্পদের ক্ষয়-ক্ষতি নিরূপণ করে থাকে। একই সাথে পলিসির শর্তের সাথে ক্ষয়-ক্ষতির সমন্বয়ও করে। এ ছাড়াও বীমাকৃত সম্পদের ক্ষতির প্রকৃত কারণও খুঁজে বের করেন জরিপকারীরা। জরিপকারীর এই জরিপ প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করেই বীমা দাবি নিষ্পত্তি করা হয়।
দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য বীমা জরিপকারী প্রতিষ্ঠানের প্রধান জরিপকারীসহ কর্মরত জনবলকে বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স একাডেমি (বিআইএ) থেকে বীমা জরিপ বিষয়ে ৩ দিনের প্রশিক্ষণ গ্রহণ করতে হবে। বিআইএ থেকে প্রশিক্ষণ গ্রহণের সার্টিফিকেট ব্যতীত কোন বীমা জরিপকারী প্রতিষ্ঠানকে আইডিআরএ কর্তৃক লাইসেন্স এবং জরিপ প্রতিবেদনে স্বাক্ষর করার ক্ষমতা প্রদান করা হবে না।
এর আগে বীমা শিক্ষার বাধ্যবাধকতা না রেখেই বীমা জরিপকারীর যোগ্যতা নির্ধারণ করে “নন-লাইফ বীমা জরিপকারী (লাইসেন্সিং) বিধিমালা, ২০১৮” এর গেজেট প্রকাশ করে সরকার। ফলে দেশি বা বিদেশি স্বীকৃত কোনো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক বা সমমানের ডিগ্রিধারী যে কেউ নন-লাইফ বীমার জরিপকারী হওয়ার সুযোগ পান।
অর্থসংবাদ/এসআর