পর্ষদ ও পর্ষদের সহায়ক কমিটির সভায় বহিরাগতদের অংশগ্রহন বন্ধে এর আগেও নির্দেশনা দিয়েছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। ২০১৩ সালের ২৬ ডিসেম্বর সার্কুলার জারি করা ওই সার্কুলারে বলা হয়েছিল, পরিচালনা পর্ষদ ও পর্ষদের সহায়ক কমিটির সভায় ব্যাংকের পরিচালকরা, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও কোম্পানি সচিব ব্যতীত অন্য কোনো বহিরাগত ব্যক্তি বা শেয়ারহোল্ডারদের উপস্থিতি পরিহারের বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। পর্ষদ বা পর্ষদের সহায়ক কমিটির আহ্বানে ব্যাংকের কোনো কর্মকর্তা তার সংশ্লিষ্ট কোনো বিষয় উপস্থাপনকালে ওই সভায় উপস্থিত থাকতে পারবেন। তবে সেই উপস্থিতি পূর্ণ সময়ের জন্য নয়।
নতুন সার্কুলারে বিষয়টি তুলে ধরে বলা হয়েছে, সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংক অবহিত হয়েছে যে, ওই নির্দেশনা লঙ্ঘন করে কতিপয় ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ও পর্ষদের সহায়ক কমিটির সভায় বহিরাগত ব্যক্তি, ব্যাংকের কর্মকর্তা এবং শেয়ারহোল্ডার উপস্থিত থেকে সভায় অংশ নিচ্ছেন। ফলে সভায় আলোচিত গোপনীয় বিষয় প্রকাশিত হয়ে যাওয়ায় ব্যাংক-কোম্পানিসহ আমানতকারীরা ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। তাই সার্বিক বিষয়াবলী বিবেচনায় নির্দেশনা দেওয়া যাচ্ছে যে, কোনো পরিস্থিতিতেই বহিরাগত কোনো ব্যক্তি, বিশেষ প্রয়োজনে পর্ষদ ও পর্ষদের সহায়ক কমিটির সদস্যদের আহ্বান ব্যতিরেকে ব্যাংকের কোনো কর্মকর্তা, কর্মচারী এবং শেয়ারহোল্ডার পরিচালনা পর্ষদ ও পর্ষদের সহায়ক কমিটির সভায় উপস্থিত থাকতে পারবেন না।
ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকরা পরিচালনা পর্ষদের পরবর্তী সভায় পর্ষদের অবগতির জন্য এ নির্দেশনা উপস্থাপন করবেন বলেও সার্কুলারে উল্লেখ করা হয়।