আদালতে হরিজনদের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার সারাহ হোসেন। এ ছাড়া ছিলেন অ্যাডভোকেট জেড আই খান পান্না, আইনুন নাহার সিদ্দিকা, মনজ কান্তি ভৌমিক ও আইনজীবী উৎপল বিশ্বাস। আর সিটি করপোরেশনের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী মুরাদ রেজা।
এই হরিজন কলোনীতে উচ্ছেদ অভিযানের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে করা এক রিটের শুনানি শেষে গত ১৩ জুন বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহ’র হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ ১ মাসের স্ট্যাটাসকোর (যেমন আছে তেমন থাকার) আদেশ দেন। সেই সঙ্গে বিকল্প আবাসনের ব্যবস্থা না করে রাজধানীর বংশালের মিরনজিল্লা হরিজন কলোনীবাসীদের উচ্ছেদ না করতে নির্দেশ দেন।
ব্রিটিশ আমলে ভারতের তেলেগু থেকে আসা এই হরিজন সম্প্রদায়ের লোকজন কয়েকশ’ বছর ধরে এই কলোনিতে বসবাস করে আসছেন। মিরনজিল্লার সুইপার কলোনিতে বর্তমানে প্রায় চার হাজার লোক বাস করেন। এই কলোনির একটি অংশর আধুনিক কাঁচাবাজার নির্মাণ করতে চায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। এ জন্য সেখানে থাকা স্থাপনা উচ্ছেদে গত সোমবার গিয়েছিলেন সংস্থাটির কর্মকর্তারা। তারা হরিজন সম্প্রদায়ের তীব্র আপত্তি ও বাধার মুখে পড়েন। পরে তারা একটি দেয়াল ও কয়েকটি স্থাপনা ভেঙে চলে যান।
সিটি করপোরেশনের এই উচ্ছেদ অভিযানের প্রতিবাদে সকাল থেকে বিক্ষোভ করছে হরিজন সম্প্রদায়ের শিক্ষার্থীরা। তারা স্কুলের পোশাক পরে বিক্ষোভে অংশ নেন।
এমআই