রোববার (১৪ জুলাই) রাত ১১টা থেকে এই মিছিলের সূচনা হয়। মিছিল নিয়ে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে জড়ো হন।
সরেজমিনে দেখা যায়, হল পাড়ার প্রায় হাজার শিক্ষার্থী একত্রিত হয়েছেন। এ সময় তারা বিজয় একাত্তর হলে ঢুকতে চাইলে ছাত্রলীগের বাধার সম্মুখীন হন। কিন্তু বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা ছাত্রলীগের বাধা উপেক্ষা করে ভেতরে ঢুকে সমর্থকদের নিয়ে আসেন। পরে তারা মিছিল নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে জড়ো হন।
মিছিলে তাদের ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, রাষ্ট্র কারো বাপের না’, ‘চেয়েছিলাম অধিকার, হয়ে গেলাম রাজাকার’, ‘আমার স্বাধীন বাংলায়, একের কথা চলে না’, ‘তুমি কে আমি কে, বাঙালি বাঙালি’, ‘লাখো শহীদের রক্তে কেনা, দেশটা কারো বাপের না’ ইত্যাদি স্লোগানও দিতে দেখা গেছে।
আন্দোলনকারী এক শিক্ষার্থী বলেন, হলের ছাত্রলীগ নেতাদের কাছ থেকে এমন আচরণ অপ্রত্যাশিত। এটা ছাত্রদের অধিকারের লড়াই। এ লড়াইয়ে আমরা আপোসহীন।
এর আগে, রাত ৯টা থেকে প্রতিটি হলের শিক্ষার্থীরা সমস্বরে ‘আমি কে তুমি কে, রাজাকার, রাজাকার’ স্লোগান দিতে থাকেন এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট দিতে থাকেন।
প্রসঙ্গত, চীন সফর নিয়ে সংবাদ সম্মেলন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাংবাদিক এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের নাতি-নাতনিরা চাকরি পাবে না কি রাজাকের নাতিনাতনিরা চাকরি পাবে?
এমআই