কোন ধরণের সুদ ছাড়া সহযোগী প্রতিষ্ঠানে ঋণ দিলেও টানা কয়েক বছর লভ্যাংশ দিতে পারছে না শেয়ারহোল্ডারদের। এমন অবস্থার কারণ জানতে চেয়ে কোম্পানিটিতে চিঠি দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
বিএসইসি সূত্র মতে, গত ১৩ আগস্ট সহযোগী প্রতিষ্ঠানের ঋণের তথ্য চেয়ে তালিকাভুক্ত সকল কোম্পানিতে চিঠি দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি। সহযোগী প্রতিষ্ঠানগুলো স্বাভাবিকভাবে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর পরিচালকদের মালিকানায় থাকে।
বিএসইসি সূত্র মতে,৩১ মার্চ পর্যন্ত কোম্পানিটি বিভিন্ন ব্যাংক থেকে ৪৩৩.৮৩ কোটি টাকার ঋণ নিয়েছে। এই টাকার জন্য ২৯.৮১ কোটি টাকা ঋণ পরিশোধ করেছে অ্যারামিট। অ্যারামিট সিমেন্ট ঋণ পরিশোধ করলেও কোন ধরণের সুদ ছাড়া অ্যাসোসিয়েট কোম্পানিতে ঋণ দিয়েছে কোম্পানিটি। অ্যাসোসিয়েট কোম্পানিতে সুদ বিহীন ঋণ দিলেও ৩০ জুন,২০২০ সমাপ্ত হিসাব বছর শেষে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য কোন লভ্যাংশ ঘোষণা করেনি পরিচালা পর্ষদ।
সূত্র মতে,গত ৫ বছর কোম্পানিটি তার সহযোগী কোম্পানিতে কোন ধরণের সুদ ছাড়া দিয়ে রেখেছে। সহযোগী প্রতিষ্ঠানে দেওয়া ঋণ থেকে মাত্র ১০ শতাংশ সুদ নিলে ২০ শতাংশ লভ্যাংশ দিতে পারতো শেয়ারহোল্ডারদের। শেয়ারহোল্ডারদের স্বার্থের কথা বিবেচনা না করেই সহযোগী প্রতিষ্ঠানে ঋণ দিয়ে রেখেছে কোম্পানিটি।
সূত্র মতে, অ্যারামিট থাই অ্যালমোনিয়ামে ২৭.৬৪ কোটি টাকা, অ্যারামিট পাওয়ারে ৫.৮৪ কোটি টাকা, অ্যারামিট ফুটওয়্যারে ২৬.৫৩ কোটি টাকা, অ্যারামিট অলো কম্পোজিট প্যানেলে ১.২৫ কোটি টাকা এবং নর্থ সাউথ ট্রান্সপোর্টে ১৫.৯৩ কোটি টাকা ঋণ দিয়েছে অ্যারামিট সিমেন্ট লিমিটেড।
ডিএসই সূত্র মতে, ৩০ জুন,২০১৬ অর্থ বছরের পরে টানা ৪ বছর কোন লভ্যাংশ দেয়নি অ্যারামিট সিমেন্ট। ৩০ জুন,২০১৯ শেষে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি লোকসান ছিলো ৫ টাকা ১৫ পয়সা। ৩০ জুন,২০২০ শেষে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি লোকসান দাঁড়িয়েছে ছিলো ৬ টাকা ৬৮ পয়সা। সর্বশেষ (জুলাই-সেপ্টেম্বর,২০২০) প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি লোকসান করেছে ১ টাকা ৩২ পয়সা।
অর্থসংবাদ/ এমএস