সভায় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নবম পদাতিক ডিভিশনের জেনারেল অফিসার কমান্ডিং (জিওসি) ও এরিয়া কমান্ডার (সাভার) মেজর জেনারেল মো. মঈন খান এবং বিভিন্ন চেম্বার ও অ্যাসোসিয়েশনের ব্যবসায়ী নেতারা।
এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নয়ন করা গেলে ব্যবসায়ী ও বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আস্থা ফিরে আসবে। ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও শিল্পের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা গেলে অর্থনীতি তার গতিশীলতা ফিরে পাবে এবং এই লক্ষ্যে সেনাবাহিনী যেসব পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে, তাতে ব্যবসায়ী সমাজ আশান্বিত। এফবিসিসিআই সভাপতি আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে একযোগে কাজ করবেন মর্মে জিওসিকে নিশ্চয়তা প্রদান করেন।
নবম পদাতিক ডিভিশনের জেনারেল অফিসার কমান্ডিং (জিওসি) ও এরিয়া কমান্ডার (সাভার) মেজর জেনারেল মো. মঈন খান বলেন, ব্যবসা-বাণিজ্য ও শিল্প প্রতিষ্ঠানকে নিরাপত্তা দিতে না পারলে অর্থনীতি মুখ থুবড়ে পড়বে। এ জন্য সর্বশক্তি দিয়ে ব্যবসা-বাণিজ্য ও শিল্পের নিরাপত্তা প্রদান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান কর্তব্য। তাই কোনো ব্যবসায়ী কিংবা শিল্প প্রতিষ্ঠান চাঁদাবাজিসহ হামলার হুমকি পেলে সে বিষয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে তথ্য প্রদানের আহ্বান জানান তিনি।
এ সময়, শিল্প পুলিশের ডিআইজি মো. আজাদ মিয়া জানান, শিল্পের সুরক্ষায় ইতোমধ্যে অধিকাংশ পুলিশ সদস্য কাজে যোগদান করেছে। শিগগিরই বাকি সদস্য কাজে যোগদান করবেন। তাছাড়া, বেশিরভাগ শিল্প কারখানায় শ্রমিক উপস্থিতি আশাব্যঞ্জক বলে জানান তিনি।
এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি আব্দুল আউয়াল মিন্টু বলেন, দেশে সামাজিক অস্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তাহীনতা থাকলে বিনিয়োগ হবে না। এ জন্য তিনি সবার আগে সেনাবাহিনীকে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নয়নের আহ্বান জানান এবং ব্যবসায়ীরা তাদের এ কাজে সহযোগিতা করবে বলে আশ্বস্ত করেন।
সভায় উপস্থিত ছিলেন, এফবিসিসিআইর সাবেক সভাপতি মীর নাসির হোসেন, মো. জসিম উদ্দিন, এফবিসিসিআইয়ের সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. আমিন হেলালী, সহ-সভাপতি মো. মুনির হোসেন, সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু প্রমুখ।
এমআই