এর আগে গত বৃহস্পতিবার এস আলম গ্রুপের নিয়ন্ত্রণমুক্ত করে পর্ষদ ভেঙ্গে দিতে চিঠি দেন ইসলামী ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। ব্যাংকটির উদ্যোক্তাদের পক্ষ থেকে গভর্নর বরাবর পাঠানো চিঠিতে ব্যাংকটির বিভিন্ন চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। এতে সই করেছেন- ২০১৭ সালে জোর করে বাদ দেওয়া চেয়ারম্যান মেজর (অব.) ডা. রেজাউল হক, ওই সময়ের নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান মো. আনিসুল হক ও তখনকার অডিট কমিটির চেয়ারম্যান মো. আব্দুর রহমান।
জানা যায়, বাংলাদেশ ব্যাংকের কিছু অসাধু কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক সহায়তায় ২০১৭ সালে ব্যাংক দু'টি দখল করে এস আলম গ্রুপ। এছাড়াও ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী, গ্লোবাল ইসলামী, ইউনিয়ন, বাংলাদেশ কমার্স ও এনবিএলের নিয়ন্ত্রণ চলে যায় গ্রুপটির হাতে। এসব ব্যাংক ছাড়াও বিভিন্ন ব্যাংক থেকে নামে-বেনামে বিপুল অংকের ঋণ নিয়েছে গ্রুপটি।
এসআইবিএল সূত্রে জানা গেছে, ব্যাংকটি এখনও এসআলম গ্রুপের নিয়ন্ত্রণ থাকায় আতঙ্কে প্রচুর টাকা তুলে নিচ্ছেন আমানতকারীরা। একজন গ্রাহক দিনে ৩ লাখ টাকার বেশি উত্তোলনের ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় বেশিরভাগই ব্যাংকে এসে পে-অর্ডার নিচ্ছেন। সকাল থেকে দুপুর একটা পর্যন্ত ৮ কোটি ১৭ লাখ টাকার পে-অর্ডার ইস্যু করেছে ব্যাংকটির বিভিন্ন শাখা।
এমআই