পর্ষদ ভেঙ্গে দিয়ে ইসলামী ব্যাংককে ঢেলে সাজানোর দাবি

পর্ষদ ভেঙ্গে দিয়ে ইসলামী ব্যাংককে ঢেলে সাজানোর দাবি

এস. আলম গ্রুপের নিয়ন্ত্রণে থাকা ইসলামী ব্যাংকের বর্তমান বোর্ড অব ডাইরেক্টরস ভেঙ্গে দিয়ে নতুন বোর্ড গঠন করারও দাবি জানিয়েছে ইসলামী ব্যাংক কর্মচারী কল্যাণ ইউনিয়ন (সিবিএ)। সম্প্রতি এ সংক্রান্ত চিঠি বাংলাদেশ ব্যাংকে পাঠানো হয়েছে।


চিঠিতে বলা হয়েছে, দেশের সর্ববৃহৎ ব্যাংক ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির দুর্নীতি, অনিয়ম, অবৈধ নিয়োগ এবং অর্থ-পাচারের খবর বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা ও সামাজিক মাধ্যমে (ফেসবুক, ইউটিউব, ইন্সটাগ্রাম) ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হচ্ছে। ব্যাংকটির বোর্ড অব ডাইরেক্টরস ও কতিপয় অসাধু কর্মকর্তার সহায়তায় ব্যাংকের বিপুল পরিমাণ অর্থ পাচার হয়েছে। ইসলামী ব্যাংক কর্মচারী কল্যাণ ইউনিয়ন (সিবিএ) মনে করে, ব্যাংকের এই দুরাবস্থার জন্য বর্তমান বোর্ড অব ডাইরেক্টরস এবং অসাধু কর্মকর্তাগণই দায়ী। তাদের এই সীমাহীন দুর্নীতির কারণে ব্যাংকটির প্রতি গণমানুষের আস্থার চরম সংকট দেখা দিয়েছে।


সুতরাং, ইসলামী ব্যাংকের হারানো গৌরব পুনরুদ্ধার, ব্যাংকের সকল স্টেকহোল্ডারদের স্বার্থ রক্ষা, তাদের আস্থা ফিরিয়ে আনা এবং টেকসই অর্থনীতি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ব্যাংক কোম্পানি আইন ৪৭ ধারা মোতাবেক ব্যাংকের বর্তমান দুর্নীতিগ্রন্থ পরিচালনা পর্ষদ ভেঙ্গে দিয়ে সৎ, যোগ্য ও দুর্নীতিমুক্ত বিজ্ঞ ব্যক্তিবর্গের সমন্বয়ে বা সাবেক অভিজ্ঞ পরিচালকদের মধ্য হতে কিছু সংখ্যক ব্যক্তির সমন্বয়ে বোর্ড পুনর্গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা দরকার।


চিঠিতে আরও বলা হয়, এস আলম গ্রুপ ব্যাংকটির নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর ধীরে ধীরে শেয়ার ছেড়ে দিতে বাধ্য করা হয় ইসলামিক ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (আইডিবি), দুবাই ইসলামী কাকে, আল-রাজি গ্রুপ, দোদি কোম্পানি আরবসাস ট্রাফেল অ্যান্ড টুরিস্ট এজেন্সির বেশির ভাগ উদ্যোক্তা ও সাধারণ শেয়ারধারী প্রতিষ্ঠান। এছাড়া স্থানীয় অনেক প্রতিষ্ঠানকে ইসলামী ব্যাংকের শেয়ায় থেড়ে দিতে হয়। এস আলম গ্রুপ ব্যাংকটি নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার আগে বিদেশিদের শেয়ার ছিল ৫২ শতাংশের মতো, যা এখন ১৩ শতাংশে নেমে এসেছে।


এ প্রেক্ষিতে ইসলামী ব্যাংক রক্ষায় সিবিএ ৩টি দাবি জানিয়েছে। দাবিগুলো হলো- ১. নামে বেনামে ক্রয় করা ব্যাংকের ৮২ শতাংশ শেয়ার যাতে অন্য কোথাও হস্তান্তর করতে না পারে, দ্রুত সে ব্যবস্থা গ্রহণ করা। ২. বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে ইসলামী ব্যাংকের সম্পদ লুটপাটের তথ্য অবিলম্বে যথাযথ তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত চিত্র তুলে আনা। ৩. বর্তমান দখলদার পরিচালনা পর্ষদ অনতিবিলম্বে বাতিল করে তদস্থলে পূর্ববর্তী ২০১৩ সালের ন্যায় সৎ, দক্ষ, যোগা ও সক্ষম পেশাদার ব্যক্তিবর্গ দিয়ে একটি নতুন পরিচালনা পর্ষদ গঠন করা।

আর্কাইভ থেকে

আরও পড়ুন

চারদিনের ছুটিতে ব্যাংক ও পুঁজিবাজার
ইসলামী ব্যাংকে এস আলমপন্থি ২০০ কর্মকর্তা বরখাস্ত, ওএসডি ৫ হাজার
বিশেষ যোগ্যতা মূল্যায়ন পরীক্ষা নিয়ে ইসলামী ব্যাংকের বক্তব্য
স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের ৫৪ গ্রাহকের টাকা উধাও
পাঁচ ব্যাংক চূড়ান্তভাবে একীভূত করতে বসছে প্রশাসক
ডিজিটাল ব্যাংক খোলার আবেদনের সময় বাড়ল
একীভূতকরণে তিন ব্যাংকের সম্মতি, সময় চায় দুটি
একীভূত হতে রাজি গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক
ব্র্যাক ব্যাংকের নতুন এমডি ও সিইও হলেন তারেক রেফাত উল্লাহ খান
ঋণ, ওভারড্রাফট ও গ্যারান্টির জন্য মাস্টার সার্কুলার জারি