আজ (২১ নভেম্বর) দুপুর ২টা ৩৫ মিনিটে ‘ওয়ান-এ’ স্প্যানটি বসানো হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী ও প্রকল্প ব্যবস্থাপক (মূল সেতু) দেওয়ান মো. আবদুল কাদের।
এর আগে সকাল ৯টা ২০ মিনিটের দিকে মুন্সিগঞ্জের লৌহজং এর মাওয়ায় অবস্থিত কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ডের স্টিল ট্রাস জেটি থেকে স্প্যানটি নিয়ে রওনা দেয় পৃথিবীর সবচয়ে বড় ভাসমান ক্রেন তিয়ান-ই। প্রায় আধাঘণ্টা পর কাঙ্ক্ষিত পিলারের কাছে পৌঁছায় ৩ হাজার ৬০০ টন সক্ষমতার ক্রেনটি। প্রকৌশলীরা জানিয়েছেন, ভাসমান ক্রেনটি যাতে অবস্থান করতে পারে, সেজন্য আগেই ড্রেজিং করে পর্যাপ্ত গভীরতার ব্যবস্থা করা হয়। ক্রেনটি ২ পিলারের মধ্যবর্তী স্থানে রেখে সুবিধাজনক জায়গায় নোঙর করা হয়। এরপর পজিশনিং শেষে স্প্যানটি পিলারের উচ্চতায় তুলে রাখা হয় পিলারের বেয়ারিংয়ের ওপর। এর মাধ্যমেই দৃশ্যমান হয় সেতুর ৫ হাজার ৭০০ মিটার।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, পদ্মাসেতুতে মোট ৪২টি পিলারে বসানো হবে ৪১টি স্প্যান। মূল সেতু নির্মাণের কাজ করছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না রেলওয়ে মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং গ্রুপ কোম্পানি লিমিটেড (এমবিইসি) ও নদীশাসনের কাজ করছে চীনের আরেকটি প্রতিষ্ঠান সিনো হাইড্রো করপোরেশন।
অর্থসংবাদ/এসএ/১৮:০২/১১:২১:২০২০