চট্টগ্রাম বন্দরের কার শেডে সারিবদ্ধভাবে রাখা প্রতিটি গাড়ির শুল্কসহ বাজারমূল্য অন্তত ১০ থেকে ১২ কোটি টাকা। কিন্তু শুল্কমুক্ত সুবিধা পেতেই এসব গাড়ি আমদানি করেছিলেন দ্বাদশ সংসদের সদস্যরা। অর্থাৎ শুল্ক না দিয়ে নামমাত্র মূল্যে আমদানি করে গাড়ির মালিক হওয়ার সুযোগ ছিল তাদের। তবে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে সংসদ সদস্য পদ চলে যাওয়ায় এসব গাড়ি আর ছাড় করছে না কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।
ছাত্র আন্দোলনের পরিস্থিতি আঁচ করতে পেরে গত জুলাই মাসে ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান, অভিনেতা ফেরদৌস এবং ব্যারিস্টার সুমনসহ তৎকালীন সাত সংসদ সদস্য চট্টগ্রাম থেকে তাদের গাড়ি ছাড় করে নেন। এতে সরকারকে ৭৫ কোটি টাকার বেশি রাজস্ব গচ্চা দিতে হয়েছে।
এদিকে সাবেক সংসদ সদস্য জান্নাত আর হেনরী এবং মুজিবুর রহমান মঞ্জু সমস্ত প্রক্রিয়া সম্পন্ন করলেও গাড়ি খালাস নিতে পারেনি। এছাড়া অনুপম শাহজাহান জয় ও এবিএম আনিসুজ্জামান নামে আরও দুই সাবেক এমপি গাড়ি ছাড় করাতে নথিপত্র জমা দিয়েছিলেন। এই চারটি গাড়িও এখন কাস্টমসের জিম্মায়।
চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজের উপ কমিশনার সাইদুল ইসলাম বলেন, যেহেতু সংসদটা ভেঙে গেছে। এখন শুল্কমুক্ত সুবিধা তারা পাবেন কি না সে বিষয়ে সরকারের দিকনির্দেশনার জন্য চট্টগ্রাম কাস্টমের পক্ষ থেকে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে চিঠি দিয়েছি। সেই চিঠির জবাবে যে নির্দেশনা দেয়া হবে আলোকে আমরা পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহণ করবো।
শুল্কমুক্ত সুবিধায় আনা মার্সিডিজ বেঞ্জ, রেঞ্জ রোভার এবং বিএম ডব্লিউর মতো মূল্যবান গাড়ি আপাতত বন্দরের বিভিন্ন শেডে রাখা হয়েছে। এক্ষেত্রে জটিলতা এড়াতে ৩০ দিন পেরিয়ে গেলে নিয়ম মেনে নিলামে বিক্রির জন্য চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউজের কাছে হস্তান্তরের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।
এমআই