বৈদেশিক মুদ্রায় লেনদেনের সকল অনুমোদিত ডিলারদের পাঠানো নির্দেশনায় বলা হয়েছে, কোনো প্রতিষ্ঠান বন্ধ হলে নিজস্ব মালিকানাধীন শেয়ার বিক্রি করে তা ফেরত নিয়ে যেতে পারবেন বিদেশি বিনিয়োগকারীরা। নিয়ম সংক্রান্ত কারণে আদালতের আদেশে অথবা স্বেচ্ছায় কোম্পানি বন্ধ হলে অর্থ নেওয়া যাবে।
আদালত কোন কোম্পানি বন্ধের নির্দেশ দিলে অর্থ নেয়ার জন্য সেই আদেশের কপিসহ সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় ব্যাংক আবেদন করতে হবে। এক্ষেত্রে শেয়ারের সংখ্যা, অর্থের পরিমান, করকর্তন এবং অবসায়কের সনদসহ যাবতীয় কাগজপত্র দাখিল করতে হবে।
স্বেচ্ছায় বন্ধ করতে চাইলে সবধরনের কাগজপত্র কেন্দ্রীয় ব্যাংকে দাখিল করতে হবে। তবে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আবেদন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে পাঠানোর আগে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক অবশ্যই সব ধরনের কাগজপত্র ও নিয়মনীতি পরিপালনের যথাযথ পরিপালন নিশ্চিত করতে হবে।
শেয়ারের অর্থ ফেরত নিতে হলে সম্ভাব্য দলিলাদির তালিকা দেওয়া হয়েছে ওই সার্কলারে। এর মধ্যে রয়েছে, কোম্পানি গঠনের সার্টিফিকেট, মেমোরেন্ডাম অ্যান্ড আর্টিকেলস অব অ্যাসোসিয়েশন, রিটার্ন অব অ্যালটমেন্ট, ইনস্ট্রুমেন্ট অব ট্রান্সফার শেয়ার, অডিটেড ব্যালান্সশিট, অবসায়কের সনদ, সিআইবি রিপোর্ট, কর সনদপত্র ইত্যাদি।
সংশ্লিষ্টরা জানান, অপার সম্ভাবনা সত্তেও বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা ও নিয়ম নীতির করণে দেশে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা আসতে চায় না। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এ নির্দেশনার কারনে এখন বিদেশিরা দেশে বিনিয়োগে আকৃষ্ট হবে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর ) সময়ে দেশে সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই) এসেছে ২৭৪ কোটি ৫০ লাখ ডলার, এর মধ্যে নিট বিদেশি বিনিয়োগ ১৩৫ কোটি ৯০ লাখ ডলার। যা গত অর্থবছরের চেয়ে এফডিআই বেড়েছে ৩ দশমিক ৯৪ শতাংশ ও নিট বেড়েছে ২ দশমকি ৫৭শতাংশ। তবে দেশের শেয়ারবাজারে বিদেশি বিনিয়োগ কমেছে। আলোচিত সময়ে মাত্র ৩ কোটি ৭০ লাখ ডলার বিনিয়োগ করেছি বিদেশিরা। যা তার আগের অর্থবছরে একই সময়ে ছিল ৭ কোটি ২০ লাখ ডলার।