তাঁর সঙ্গে কাজ করছেন মোহাম্মদ আহসান খান, রাগীব নাঈম ও মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম। তাঁদের এমফিল ও পিএইচডি গবেষণার সঙ্গে যুক্ত এই কারানাট্য। এ ছাড়া নির্বাচিত নাট্যকর্মী ও সাংস্কৃতিক কর্মীদেরও এই প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ থাকবে।
ইসরাফিল শাহীন জানিয়েছেন, তিন বছরব্যাপী এই গবেষণাধর্মী কাজের জন্য ইতিমধ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও কারা অধিদপ্তর অনুমতি দিয়েছে। আয়োজনটিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অসমাপ্ত আত্মজীবনী এবং কারাগারের রোজনামচা থেকে বিভিন্ন দৃশ্য কারাবন্দীদের মধ্যে পরিবেশন করা হবে। এ ছাড়া জাতীয় চার নেতার স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে নৃশংস হত্যাকাণ্ডটিও কারাগারের ভেতরে কারাবন্দীদের দিয়ে অভিনীত ও পরিবেশিত হবে। চলতি বছরের ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে প্রকল্পটির উদ্বোধনী আয়োজন করার কথা চলছে।
তিনি জানান, পথনাট্য নিয়ে দীর্ঘদিন পড়ালেখা, গবেষণা ও কাজ করেছেন। কারানাট্য নিয়ে চিন্তাভাবনা প্রায় ১৫ বছরের। থিয়েটারের মতো পারফর্মিং আর্টকে শুধু মিলনায়তনের মধ্যে বন্দী না করে সমাজের নানা কমিউনিটির মধ্যে থিয়েটারকে সম্পৃক্ত করা উচিত বলে মনে করেন তিনি। এরই একটি উদ্যোগ এই কারানাট্য। এ ছাড়া মানসিক স্বাস্থ্য হাসপাতাল এবং শিশু-কিশোর সংশোধনাগারেও তাঁরা থিয়েটার নিয়ে কাজ করবেন।
এছাড়া দেশের বিভিন্ন কারাগারে কারাবন্দীরা পর্যায়ক্রমে মঞ্চস্থ করবেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ ও ‘কারাগারের রোজনামচা’ গ্রন্থ থেকে বিভিন্ন দৃশ্য। এছাড়া জেল হত্যা দিবসে জাতীয় চার নেতার নৃশংস হত্যাকাণ্ডটি কারাগারের অভ্যন্তরে কারাবন্দীদের দ্বারা অভিনীত এবং পরিবেশন করা হবে।
১৯৫৩ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি ভাষাশহীদদের শ্রদ্ধা নিবেদনের উদ্দেশ্যে কারাবন্দী অবস্থায় মুনীর চৌধুরী কবর নাটক লিখেছিলেন। তিনি তত্কালীন ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে তাঁর সঙ্গে কয়েকজন রাজনৈতিক বন্দীকে নিয়ে নাটকটি পরিবেশন করেন। বাংলাদেশের ইতিহাসে কারানাট্য অনুশীলনের এটি একটি উল্লেখযোগ্য অনুসরণীয় উদাহরণ।
অর্থসংবাদ/এ এইচ আর ১২:১৬/ ১১:২৫:২০২০