দিনের প্রথম ম্যাচে আগে ব্যাট করে ৬ উইকেটে ১৪৬ রান তুলেছিল খুলনা। টুর্নামেন্টের প্রথম দিনে শেষ ওভারে ৪ ছক্কায় দুর্দান্ত জয় এনে দেওয়া আরিফুল হক আজও জ্বলে উঠেছিলেন। ছয়ে নেমে ৩১ বলে ৪১ রানে অপরাজিত ছিলেন আরিফুল। ৩ ছক্কা ও ২ চারে ইনিংসটি সাজান তিনি। ৫১ রান তুলতে ৫ উইকেট হারানো খুলনাকে টেনেছেন আরিফুল ও শামীম হোসেন।
অনূর্ধ্ব-১৯ দলের হয়ে বিশ্বকাপ জেতা শামীম ২৫ বলে ৩৫ রান করে আউট হন। ২ ছক্কা ও ৩ চার মারেন তিনি। খুলনার টপ অর্ডারদের মধ্যে শুধু এনামুল হকই উইকেটে ছিলেন কিছুক্ষণ। ২৬ রানে আউট হন এই ওপেনার। ১২ রানে আউট হন সাকিব আল হাসান। রাজশাহীর হয়ে ২ উইকেট নেন পেসার মুকিদুল।
তাড়া করতে নেমে ১৬ বল হাতে রেখে জিতেছে রাজশাহী। অধিনায়ক ও ওপেনার নাজমুল হোসেন শান্ত ৩৪ বলে ৫৫ রান করে অগ্রণী ভূমিকা রাখেন জয়ে। ৩ ছক্কা ও ৬ চার মারেন তিনি। প্রথম ম্যাচে ৫ রানে আউট হওয়া মোহাম্মদ আশরাফুল দলকে জিতিয়ে মাঠ ছেড়েছেন। ৩ চারে ২২ বলে ২৫ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি। ২৪ রানে আউট হন ফজলে মাহমুদ। ২ চার ও ২ ছক্কায় ১৬ বলের ঝোড়ো ইনিংস খেলেন তিনি। খুলনার হয়ে ২ উইকেট নেন লিগ স্পিনার রিশাদ হোসেন। সাকিব বল হাতে কোনো উইকেট পাননি।
দিনের শেষ ম্যাচের প্রথম ইনিংসে দাপট ছড়িয়েছেন বোলাররা। আগে ব্যাট করতে নামা ঢাকা ১৬.২ ওভারে মাত্র ৮৮ রানে অলআউট হয়। মোহাম্মদ নাঈমের ৪০ রানের ইনিংস ছাড়া আর কেউ বলার মতো ব্যাটিং করতে পারেননি। ১০ বল খেলে নির্ভেজাল ‘শূন্য’ রানে আউট হন সাব্বির রহমান। মুশফিকুর রহিম মেরেছেন ‘গোল্ডেন ডাক’—০। চট্টগ্রামের হয়ে ২টি করে উইকেট শরিফুল ইসলাম, মোস্তাফিজুর রহমান, মোসাদ্দেক হোসেন ও তাইজুল ইসলামের।
এত অল্প রান তাড়া করতে নেমে খুব বেশি সময় নেয়নি চট্টগ্রামের টপ অর্ডার। ১ ছক্কা ও ৩ চারে ৩৩ বলে ৩৪ রান করে আউট হন চট্টগ্রামের ওপেনার লিটন দাস। ২ ছক্কা ও ৪ চারে ২৯ বলে ৪৪ রানে অপরাজিত ছিলেন আরেক ওপেনার সৌম্য সরকার।