সংস্থাটি বলছে, গত বছর বিশ্বে ৬৭৪টি সমুদ্রগামী পুরনো জাহাজ বিক্রি হয়। তার মধ্যে বাংলাদেশের উদ্যোক্তারা কিনেছেন ২৩৬টি জাহাজ। গত বছর বিশ্বে যত জাহাজ বিক্রি হয়, তার ৬৫ শতাংশই কিনেছেন বাংলাদেশ ও ভারতের কারখানা মালিকেরা।
জাতিসংঘের উন্নয়ন ও বাণিজ্য সংস্থা ‘আঙ্কটাডের’ গত বছর শেষে প্রকাশিত ‘রিভিউ অব মেরিটাইম ট্রান্সপোর্ট ২০১৯’ প্রতিবেদন অনুযায়ী ২০১৮ সালেও জাহাজভাঙায় শীর্ষে ছিল বাংলাদেশ। সে বছর বিশ্বে যত জাহাজ ভাঙা হয়েছে, তার ৪৭ দশমিক ২ শতাংশই বাংলাদেশে ভাঙা হয়েছিল। ভারতকে টপকে এই অবস্থান নেয় বাংলাদেশ।
জাপান শিপ বিল্ডিং অ্যাসোসিয়েশনের জাহাজভাঙার তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা যায়, জাহাজভাঙা শিল্পে একসময় নেতৃত্বে ছিল তাইওয়ান। নব্বইয়ের দশকে তাইওয়ানের পাশাপাশি চীন ও দক্ষিণ কোরিয়া শীর্ষ স্থানে উঠে আসে। এর পরের দুই দশকে ভারত ও চীনের অবস্থান ছিল শীর্ষে। এভাবে বিভিন্ন দেশ এই খাত থেকে সরে আসে। পুরোনো জাহাজ কেনার ক্ষেত্রে এখন বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে প্রতিযোগিতা হচ্ছে। গত দুই বছর বাংলাদেশ ছাড়িয়ে গেছে ভারতকেও।