ইলেকট্রনিক ফিসক্যাল ডিভাইসের (ইএফডি) মাধ্যমে ভ্যাট দিলে পুরস্কার পাবেন ভ্যাটদাতা ক্রেতা। ইএফডির মাধ্যমে ভ্যাট দিলে যে রসিদ পাওয়া যাবে, তা দিয়ে আগামী জানুয়ারি থেকে লটারির আয়োজন করবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এ লটারির মাধ্যমে কয়েকজনকে পুরস্কৃত করা হবে বলে জানিয়েছেন এনবিআরের চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম।
গতকাল রাজধানীর ফার্স হোটেলে ঢাকা দক্ষিণ কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট আয়োজিত ইএফডি ও এসডিজি ব্যবহার এবং উপকারিতা সম্পর্কে অবহিতকরণ বিষয়ে ব্যবসায়ীদের অংশগ্রহণে এক সেমিনার ও আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন ঢাকা দক্ষিণ কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেটের কমিশনার এসএম হুমায়ন কবীর।
আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম বলেন, পুরস্কারের ব্যবস্থা করলে ইএফডির মাধ্যমে জনগণের ভ্যাট দেয়ার অনীহা দূর হবে। এর মাধ্যমে রাষ্ট্রের আরো বেশি উন্নয়ন হবে। আর ব্যবসায়ীদের জন্য সুখবর হচ্ছে, যারা ভাবছেন এখন ইএফডি নেয়ায় বিক্রি কম হচ্ছে, এটা ভুল। আগামী জানুয়ারি থেকে ইএফডির ইনভয়েস লটারি হবে। এর মাধ্যমে ভোক্তা ভ্যাট দেবেন এবং প্রতি মাসে পুরস্কার পাবেন। আর যারা পুরস্কার পাবেন, তাদের লটারি নাম্বার গণমাধ্যমে প্রকাশ করা হবে। ফলে নিকটস্থ ভ্যাট অফিস থেকে পুরস্কারের টাকা নিতে পারবেন ভোক্তারা। তাই যাদের দোকানে ইএফডি আছে, ভোক্তারা কিন্তু সেইসব দোকান খুঁজে পণ্য কিনতে শুরু করবেন।
এনবিআরের চেয়ারম্যান বলেন, ভ্যাট আদায় নিয়ে অনেকের মধ্যে বিরূপ প্রভাব রয়েছে। যারা দোকান মালিক, তাদের পক্ষ থেকে এক ধরনের কথা আছে। আবার ভোক্তারা বলেন, তারা ভ্যাট দেন, কিন্তু দোকান মালিক সেটা সরকারের কোষাগারে জমা দেন না। ভ্যাট তো দোকান মালিক দেবেন না, ভ্যাট দেবেন ভোক্তা। সেই ভ্যাট সরকারের আমানত। দোকান মালিক শুধু সেটা সরকারকে বুঝিয়ে দেবেন। এখানে দোকান মালিক তো তার লাভের অংশ সরকারকে দেবেন না। তাহলে দোকান মালিকদের সমস্যা কোথায়? সমস্যা হতে পারে ভ্যাট আদায়ের ফলে ক্রেতা কম হওয়া। কিন্তু সেটাও সামনে হবে না।
অর্থসংবাদ/ এমএস