তিনি আজ শনিবার চট্টগ্রামে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে আয়োজিত ‘চট্টগ্রামের উন্নয়ন, শিল্পায়ন ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ আহ্বান জানান।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, চট্টগ্রামের উন্নয়নকে ত্বরান্বিত ও অপার সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে হলে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন, ওয়াসা, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ এবং চট্টগ্রাম চেম্বার অ্যান্ড কমার্সসহ সর্বস্তরের মানুষকে সম্পৃক্ত করার কোনো বিকল্প নেই। প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে সমন্বয় করে উন্নয়ন কর্মকান্ড করে যেতে হবে।
চট্টগ্রামকে দেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের মূল কেন্দ্র হিসেবে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, মিরসরাই থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত মেরিন ড্রাইভ নির্মিত হলে এ অঞ্চলের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বহুলাংশে বৃদ্ধি পাবে।
মিরসরাই ইকোনমিক জোনের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ জোন হবে এশিয়ার সেরা একটি জোন। অনেক দেশ এখানে বিনিয়োগের আগ্রহ দেখিয়েছে। এ জোনে পানি সরবরাহ যাতে বিঘ্নিত না হয় তার জন্য পানির সকল উৎসগুলো যাচাই করা হবে।
মো. তাজুল ইসলাম বলেন, চট্টগ্রামের উন্নয়নে যে সকল প্রকল্প নেওয়া হয়েছে এবং নতুন যেসব প্রকল্প নেওয়া হবে সেগুলো অবশ্যই সমন্বয় করে নিতে হবে। সমন্বয়হীনতার কারণে যেন একই কাজ বিভিন্ন প্রকল্পের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত না হয় সেদিকে দৃষ্টি রাখতে হবে। জননেত্রী শেখ হাসিনা চট্টগ্রামের প্রতি অত্যন্ত আন্তরিক বলেই এখানে অনেকগুলো প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। প্রয়োজনে জনগুরুত্ব সম্পন্ন আরো প্রকল্প নেয়া যাবে। তবে স্বচ্ছতার সাথে সব প্রকল্পের কাজ শেষ করতে হবে।
হালদা নদী থেকে পানি উত্তোলন করলে মৎস্য প্রজনন এবং জীববৈচিত্র্য হুমকির মুখে পড়ার প্রসঙ্গে মো. তাজুল ইসলাম বলেন, প্রস্তাবিত মোহরা ফেজ-২ প্রকল্পের জন্য যে সীমিত পরিমাণ পানি উত্তোলন করা হবে তাতে জীববৈচিত্র্যের উপর প্রভাব পড়বে বলে চালানো সমীক্ষায় প্রতীয়মান হয়নি। তিনি বলেন, হালদা নদীতে মৎস্য প্রজনন এবং জীববৈচিত্র্যের পরিবেশ অক্ষুণ্ন রেখেই পানি উত্তোলন করা হবে। জীববৈচিত্র্য হুমকির মুখে ঔ এমন কাজ করা হবে না।
অর্থসংবাদ/ এমএস