আজ রোববার (২৯ নভেম্বর) রাজধানীর মতিঝিলে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) বোর্ড রুমে আয়োজিত এক সভায় ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ, সিডিবিএল এবং বাংলাদেশ ব্যাংককে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়।
পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কমিশনার শেখ সামসুদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে সভায় অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের প্রতিনিধি, বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিনিধি, ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি), সিডিবিএল এবং ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশের এমডিসহ পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে শেখ সামসুদ্দিন আহমেদ অর্থসংবাদকে বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক ২০১৫ সাল থেকে ট্রেজারি বন্ড নিয়ে কাজ করছে। সরকারের ট্রেজারি বন্ডসহ সিকিউরিটিজগুলো পুঁজিবাজারে যাতে লেনদেন করা যায়, সেই বিষয়গুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে আজকে। সরকারি বন্ডে যাতে মানুষ বিনিয়োগ করার সুযোগ পায়, সেজন্য ট্রেজারি বন্ড সেকেন্ডারি মার্কেটে চালু করার চেষ্টা করছে বিএসইসি। এর ফলে প্রায় ২৫ লাখ মানুষ এর সঙ্গে সম্পৃক্ত হওয়ার সুযোগ পাবে। এই বিশাল কর্মযজ্ঞ সম্পর্কে মানুষকে জানাতে হবে।সে জন্য একটা সচেতনামূলক প্রোগ্রাম করার পরিকল্পনা আছে। আগামী রবিবারের মধ্যে আরও চূড়ান্ত হবে।
তিনি বলেন, অর্থের বিষয়ে সবসময় আস্থার বিষয়টি গুরুত্বপূর্ন, তাই বিএসইসি আস্থার বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখছে। আমরা বিভিন্ন নতুন নতুন বন্ডেরও পরিকল্পনা করছি।সরকার কিছু কিছু বিষয় আমাদেরকে অনুমতিও দিয়েছে। মিনিসিউপাল বন্ডের অনুমোদন দিয়েছে, সেটা নিয়ে কাজ চলছে।
সভায় সরকারের ট্রেজারি বন্ডসহ সরকারি সিকিউরিটিজগুলো লেনদেনের জন্য সকল আইনি জটিলতা দ্রুত নিরসে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেয় অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক বিভাগ।
এদিকে বর্তমানে ট্রেজারি বন্ডসহ লেনদেন না হওয়া সিকিউটিরিটিজের অর্থের পরিমাণ প্রায় ৬০ হাজার কোটি টাকা অনেক বছর ধরে এই টাকা পুঁজিবাজারে লেনদেনহীন হয়ে পড়ে আছে।