সভায় বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বলেন, দেশের অর্থনীতি যেভাবে এগুচ্ছে তাতে অর্থনীতির সাথে তাল মিলিয়ে চলতে হলে পুঁজিবাজারের ব্যাপ্তি আরও বাড়াতে হবে। আর পুঁজিবাজারের ব্যাপ্তি বাড়াতে হলে মিউচ্যুয়াল ফান্ডগুলোকে আর বেশি গ্রহনযোগ্য করে তুলতে হবে। সে লক্ষ্যে আমাদেরকে করণীয় নির্ধারণ করতে হবে।
তিনি বলেন, মিউচ্যুয়াল ফান্ডে রি-ইনভেস্টমেন্ট প্রথা বাতিল করা হয়েছে, বিদেশীদের বিনিয়োগের পথ উম্মুক্ত করা হয়েছে। এসব ফান্ডে মার্জিন লোন সুবিধা চলমান রয়েছে। ফলে ধীরে ধীরে বিনিয়োগকারীদের কাছে আকর্ষণীয় হয়ে উঠছে এ খাত। মিউচ্যুয়াল ফান্ড খাতকে বিনিয়োগকারীদের আস্থার কেন্দ্রবিন্দুতে পৌঁছাতে আরও যা যা করণীয় তা আমাদেরকে করতেই হবে। এ সময় মিউচ্যুয়াল ফান্ডকে আরও জনপ্রিয় করতে সার্বিক নীতি সহায়তার আশ্বাস দেন তিনি।
বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন, এ খাতকে বিনিয়োগকারীদের কাছে গ্রহনযোগ্য করে তুলতে অধিকহারে প্রচারণা করতে হবে। সেজন্য খাত সংশ্লিষ্ট সকলকে একযোগে কাজ করতে হবে।
মূল প্রবন্ধে মিজানুর রহমান বলেন, দেশের সার্বিক অর্থনীতি এবং প্রতিবেশি দেশগুলোর তুলনায় মিউচ্যুয়াল ফান্ডের বাজার খুবই ছোট। এ বাজারকে আরও বড় করতে হবে। এখন ব্যাংকে এফডিআরের ইস্টারেস্ট রেট অনেক কম। তাই মিউচ্যুয়াল ফান্ডের দিকে বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করতে হবে। সেজন্য আমাদেরকে সার্বিক কর্মকৌশল নির্ধারণ করতে হবে।
অনুষ্ঠানে তালিকাভূক্ত ফান্ডগুলোর প্রধান নির্বাহীরা তাদের সকল সুবিধা-অসুবিধার কথা তুলে ধরেন। একইসঙ্গে এ খাতকে এগিয়ে নিতে কমিশন এবং সরকারের সার্বিক সহযোগিতা পাওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেন।