এর আগে গত ৫ নভেম্বর আইসিবিকে ৩ হাজার কোটি টাকা প্রদানে সভরেন গ্যারান্টির প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেয় অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে আইসিবির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিবের একান্ত সচিব বরাবর চিঠির অনুলিপি পাঠানো হয়েছিল। এছাড়া কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরকেও এ চিঠি পাঠানো হয়।
গভর্নরকে দেওয়া চিঠিতে অর্থ মন্ত্রণালয় জানায়, ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি) প্রস্তাবিত ঋণ পুঁজিবাজারের স্থিতিশীলতা আনয়নের লক্ষ্যে এবং উচ্চহার সুদে গ্রহণ করা তহবিল পরিশোধের মাধ্যমে নিজস্ব আর্থিক সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য বিনিয়োগ করবে। তাই অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ এ মর্মে নিশ্চয়তা প্রদান করছে যে, বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি)-এর অনুকূলে ৩ হাজার কোটি টাকা ঋণ এবং ঋণের ওপর অর্জিত বা আরোপিত সুদ অথবা এর (আসল ও সুদ) কোনো অংশ আইসিবি পরিশোধে অসমর্থ হলে সরকার যথানিয়মে তা পরিশোধ করবে।
তবে, বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক সরকারকে প্রদেয় মুনাফা থেকে অপরিশোধিত বা বকেয়া ঋণ বা ঋণের ওপর ধার্য সুদ সমন্বয় করা যাবে না। এ গ্যারান্টির মেয়াদ ইস্যুর তারিখ থেকে ১৮ মাসের জন্য বলবৎ থাকবে।
এমআই