8194460 আলুর সরবরাহ পর্যাপ্ত থাকলেও ৫ বছরের সর্বোচ্চ দাম - OrthosSongbad Archive

আলুর সরবরাহ পর্যাপ্ত থাকলেও ৫ বছরের সর্বোচ্চ দাম

আলুর সরবরাহ পর্যাপ্ত থাকলেও ৫ বছরের সর্বোচ্চ দাম

বাজারে সরবরাহ বেড়েছে নতুন আলুর। একই সঙ্গে পুরনো আলুর সরবরাহও পর্যাপ্ত। তবুও পাঁচ বছরে আলুর রেকর্ড দাম পাঁচ বছরের মধ্যে এবারই প্রথম পুরনো আলুর দাম কেজিতে ৭৫ টাকা ছাড়াল। এক বছর আগে ২০২৩ সালের ২৮ নভেম্বর বাজারে আলুর কেজিপ্রতি মূল্য ছিল ৪৫ টাকার মধ্যে।


করোনা পরিস্থিতির কারণে ২০২০ সালের একই সময় দেশে আলুর দাম ছিল প্রতি কেজি ৫০ টাকা। বাজারে সপ্তাহের ব্যবধানে সবজির দাম কিছুটা কমলেও এখনো চড়া দামেই দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে।


কোম্পানিগুলো তেলের সরবরাহ কমিয়ে দেওয়ায় বাজারের দোকানগুলোতে এখনো বোতলজাত সয়াবিন তেলের সংকট চলছে।


বাজার সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, মূলত মজুদদারদের কারসাজির কারণেই এবার আলুর দামের এমন অবস্থা। কোনো কারণ ছাড়াই তারা আলুর দাম বাড়াচ্ছে। কৃষক পর্যায় থেকে নামমাত্র মূল্যে আলু কিনে মজুদ করে অতিরিক্ত মুনাফা লুটছে অসাধু ব্যবসায়ীরা।


গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর মহাখালী কাঁচাবাজার, বাড্ডা ও রামপুরা কাঁচাবাজার ঘুরে ও বিক্রেতার সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য জানা গেছে। বাজার ঘুরে দেখা গেছে, রাজধানীর খুচরা বাজারে দাম বেড়ে প্রতি কেজি পুরনো আলু ৭৫ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ছোট পেঁয়াজসহ পেঁয়াজপাতা প্রতি কেজি ৭০ থেকে ৮০ টাকা, দেশি পেঁয়াজ মানভেদে ১২০ থেকে ১৩০ টাকা, ভারতীয় পেঁয়াজ ১০০ থেকে ১১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ১৭০ টাকায় এবং সোনালি মুরগি কেজি ২৭০ থেকে ২৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।


বাড্ডার খুচরা আলু বিক্রেতা আব্দুস সামাদ বলেন, ‘বাজারে এখন আলুর সরবরাহ সংকট রয়েছে। এতে হিমাগার পর্যায়ে কয়েক দফা দাম বাড়ানো হয়েছে। মূলত এসব কারণেই আলুর দাম বেড়েছে। বাজারে অল্প পরিসরে নতুন আলু আসছে, আশা করছি কিছুদিনের মধ্যে দাম নেমে যাবে।’


সরকারি বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) গতকালের বাজার দরের তথ্য বলছে, এক সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে আলুর দাম পাঁচ টাকা বেড়ে ৭৫ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে দেশি পেঁয়াজ কেজিতে পাঁচ টাকা পর্যন্ত কমে মানভেদে ১১৫ থেকে ১৩০ টাকা এবং আমদানিকৃত পেঁয়াজ ৮০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

কৃষি অর্থনীতিবিদ ড. জাহাঙ্গীর আলম খান জানান, কোল্ড স্টোরেজে রাখা আলুর দাম প্রতি কেজি ৩০ থেকে ৩৫ টাকার বেশি হওয়ার কথা না। আমদানি করলেও কোনোভাবেই ৪০ টাকার বেশি হওয়ার কথা না। কিন্তু ব্যবসায়ী ও কোল্ড স্টোরেজের মালিকরা আঁতাত করে এবার দাম বেশি বাড়িয়ে দিয়েছেন। কারণ এবার আলুর সরবরাহ সংকট ছিল। তবে আগামী মাসে পুরোদমে বাজারে নতুন আলুর সরবরাহ শুরু হলে দাম কমে আসবে।


হিমাগার মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ কোল্ড স্টোরেজ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বলেন, আমাদের হিসাবে দেশে আলুর সর্বোচ্চ উৎপাদন ছিল ৭০ থেকে ৭৫ লাখ টন। এর পরও আমাদের স্টোরেজ ২০ শতাংশ পর্যন্ত খালি ছিল। তাই এবার বাজারে আলুর সংকট আছে। সেটার সুযোগে মজুদদাররা দাম বাড়িয়েছেন। আমরা শুধু স্টোরেজ মালিক হিসেবে ভাড়া আদায় করে থাকি। এখানে আলু মজুদ করেন ব্যবসায়ীরা, আমরা না। কেজিতে পাঁচ থেকে ছয় টাকা ভাড়া পাই আমরা।


যদিও কৃষি মন্ত্রণালয়ের তথ্য বলছে, দেশে আলুর সর্বোচ্চ বার্ষিক চাহিদা ৮০ লাখ টন। আর বিবিএসের হিসাব মতে, গত ২০২৩-২৪ অর্থবছরে দেশে আলুর উৎপাদন ছিল এক কোটি ছয় লাখ টনের কিছু বেশি, যা আগের বছরের চেয়ে প্রায় দুই লাখ টন বেশি। ফলে চাহিদা মিটিয়ে আলু উদ্বৃত্ত থাকার কথা ২৬ লাখ টনের বেশি। কিন্তু উল্টো আলু আমদানি করেও বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখা যাচ্ছে না।


কাফি

আর্কাইভ থেকে

আরও পড়ুন

তিন দেশ থেকে ২ লাখ ১০ হাজার টন সার কিনবে সরকার
মন্দিরে দায়িত্বরত পুলিশের গুলি চুরি, ওসিসহ ৮ জন প্রত্যাহার
৫ আগস্টের পর চাঁদাবাজি বেড়েছে: অর্থ উপদেষ্টা
দুর্গাপূজার ছুটিতে শুল্ক স্টেশনে চালু থাকবে আমদানি-রপ্তানি
আগামী অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি হবে ৫ শতাংশ: এডিবি
স্মারক রৌপ্য মুদ্রার দাম বাড়লো
ফের বাড়লো স্বর্ণের দাম, ভরি ১ লাখ ৯৫ হাজার
তিন প্রকল্পে ৩ হাজার ৬২৯ কোটি টাকা দেবে এডিবি
দেশের সব জুয়েলারি প্রতিষ্ঠান বন্ধ মঙ্গলবার
রোহিঙ্গাদের জন্য ৩.৪ মিলিয়ন ডলার দিচ্ছে জাপান