শনিবার (৩০ নভেম্বর) রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) আয়োজিত ‘প্রাইভেট সেক্টর আউটলুক: প্রত্যাশা ও অগ্রাধিকার’ শীর্ষক বাণিজ্য সম্মেলনে বিশিষ্ট প্যানেল আলোচকের বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য উপদেষ্টা সেখ বশির উদ্দিন।
ব্যাংকিং সেক্টর নিয়ে আহসান খান চৌধুরী বলেন, ব্যাংকিং সেক্টরে তিন মাসের মধ্যে আমরা যে জায়গায় এসেছি, আমার মনে হয় অনেক এগিয়েছি। আমি অর্থ উপদেষ্টাকে ধন্যবাদ জানাই এ কারণে যে আগে আমরা এলসি (লেটার অব ক্রেডিট) খুলতে পারতাম না এখন একটু ভালো আছি। তবে আরও অনেক দূর যেতে হবে।
বিনিয়োগ বাড়ানোর কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এখন যদি বিনিয়োগ না হলে কর্মসংস্থান হবে না। ব্যাংকিং সেক্টরকে যদি আরও ঢেলে সাজানো যায় তাহলে খুব ভালো হয়। সুদ নিয়ে বিড়ম্বনায় আছি। সুদের হার বেড়ে গেলে মূল্যস্ফীতি কমবে কিন্তু ব্যবসার ক্ষতি হবে। আমরা জানি না আর কতদিন এ বোঝা টানতে পারবো। কৃষি উৎপাদন বাড়াতেই হবে। নতুন প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে কৃষি উৎপাদন না বাড়ালে ব্যবসায়ীদের ধরলে লাভ হবে না। মুরগি ও ডিমের দাম আমরা বাড়াচ্ছি না। উৎপাদন বাড়ানো না গেলে কৃষি খাতের মানুষের মুখে হাসি ফোটানো যাবে না।
তিনি আরও বলেন, কোনোভাবেই উৎপাদন বন্ধ করা যাবে না। মানুষ নামবে রাস্তায় আর মার খাবে মালিক এটা হবে না। উৎপাদন বন্ধ হলে ব্যবসা বন্ধ হয়ে যাবে। ফলে ব্যাংকের ঋণ শোধ করা যাবে না।
আর্থিক এবং আর্থিক ব্যবস্থা নিয়ে অনেক কথা হয়েছে। ব্যবসায়ীদের জন্য যদি ঋণ বাড়াতে পারেন, ব্যবসায়িক মূলধনের (ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল) যোগান দিতে পারেন, সুদের হার কমাতে পারেন তাহলে অচিরেই আমরা ভালো করবো এবং বাংলাদেশের ব্যবসায়িক পরিমণ্ডল আরও এগিয়ে যাবে।