বেবিচকের নির্দেশনায় বলা হয়, আজ থেকে বাংলাদেশে আসতে চাইলে যাত্রীদের অবশ্যই ৭২ ঘণ্টা আগের করোনা মুক্তির সনদ লাগবে। যেসব যাত্রী সনদ জোগাড় করতে পারবেন না তাদের টিকিট-ভিসা থাকলেও বোর্ডিং কার্ড ইস্যু করবে না সংশ্লিষ্ট এয়ারলাইনস।
বিমানবন্দর সূত্র জানান, বিদেশগামী যাত্রীদের করোনা নেগেটিভ সনদ আগেই বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। কিন্তু বিদেশফেরত বাংলাদেশি পাসপোর্টধারী যাত্রীদের ক্ষেত্রে করোনা নেগেটিভ সনদ আনার কথা বলা হলেও বাধ্যতামূলক ছিল না। কিন্তু সম্প্রতি সনদ ছাড়া যাত্রী আসার হার বাড়তে থাকায় নেগেটিভ সনদ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন এএইচএম তৌহিদ উল আহসান বলেন, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের সার্কুলার আমরা পেয়েছি। আগামী শনিবার থেকে করোনা সনদ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
জানা গেছে, এরই মধ্যে বিভিন্ন এয়ারলাইনস ও সংশ্লিষ্ট সংস্থার কাছে বেবিচকের নতুন নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে। নতুন নির্দেশনায় কূটনৈতিক ও ইউএন মিশনের সদস্যদের ক্ষেত্রেও পিসিআর টেস্ট বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। বেবিচকের নির্দেশনায় বলা হয়, ৫ ডিসেম্বর থেকে বাহরাইন, চীন, কুয়েত, সৌদি আরব, মালয়েশিয়া, মালদ্বীপ, ওমান, কাতার, শ্রীলঙ্কা, সিঙ্গাপুর, তুরস্ক, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও যুক্তরাজ্য থেকে আসা যাত্রীদের করোনা সনদ বাধ্যতামূলক লাগবে। যারা বাংলাদেশে আসবেন তাদের ফ্লাইট সময়ের ৭২ ঘণ্টা আগের পিসিআর-নির্ভর কভিড-১৯ নেগেটিভ সার্টিফিকেট বাধ্যতামূলক। দেশে এসে বিমানবন্দরে এটি দেখাতে হবে।
কিন্তু যেসব দেশে করোনা পরীক্ষার পর্যাপ্ত সুবিধা নেই সেখান থেকে আসা বাংলাদেশি শ্রমিক যারা জনশক্তি রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর কার্ডধারী, বিকল্প কোনো স্বাস্থ্যগত সনদ দেখাতে হবে। যেমন- অ্যান্টিজেন টেস্ট অথবা গ্রহণযোগ্য অন্য কোনো কভিড-১৯ সনদ।
অর্থসংবাদ/এসএ