নাসিমুল গনি বলেন, ‘সচিবালয়ে লুজ কানেকশন থেকে আগুনে সূত্রপাত। এতে কোনো ব্যক্তির সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়নি।
তদন্ত কমিটির প্রধান বলেন, ‘এ ঘটনায় কোনো নথি পুড়ে যায়নি। ক্ষতিগ্রস্তও হয়নি। পাশাপাশি ভাঙতে হবে না ক্ষতিগ্রস্ত ভবনও।’
এ সময় তদন্ত কমিটি সদস্য ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাহবুব হাসান বলেন, ‘পুড়ে যাওয়া ফ্লোরগুলোতে কোনো ধরনের বিস্ফোরক পাওয়া যায়নি।
ডগ স্কোয়াড দিয়ে সার্চ করিয়েছেন। ফায়ার সার্ভিস থেকে যে নমুনা পাওয়া গেছে তাতেও কোনো ধরনের বিস্ফোরক পাওয়া যায়নি।’
ব্রিফিংয়ে ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ জাহেদ কামাল বলেন, ‘করিডরে আগুন থাকায় নেভাতে দেরি হয়েছে, কলাপসিবল গেট থাকায় তা কেটে ভেতরে ঢুকতে হয়েছে। ইন্টেরিয়র ডিজাইনের কারণে আগুন বেশি ছড়িয়েছে। পর্যাপ্ত পানি ছিল না।’
গত বুধবার দিবাগত রাতে সচিবালয়ে ৭ নম্বর ভবনে আগুন লাগে। ফায়ার সার্ভিসের ১৯টি ইউনিট টানা ছয় ঘণ্টার চেষ্টায় ওই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে আগুনে ভবনটির চারটি তলায় অবস্থিত স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়; সড়ক পরিবহন ও সেতু, ডাক ও টেলিযোগাযোগ, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের নথিপত্র, কম্পিউটার ও আসবাব পুড়ে যায়।
গত সোমবার নাসিমুল গনি সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার কিছু নমুনা বিদেশেও পাঠানো হচ্ছে।