বায়ুর গুণমান নিয়ন্ত্রক সংস্থা এয়ার ভিজ্যুয়ালের তথ্যনুযায়ী, আজ শনিবার সকাল থেকে ঢাকার বায়ুমান ছিল স্বাভাবিকের তুলনায় সাতগুণ বেশি দূষিত। ফলে ভারতের ‘গ্যাস চেম্বার’ হিসেবে পরিচিত দিল্লির বাতাসের চেয়েও বেশি দূষিত ঢাকার বাতাস।
এতে করে বাতাসে ভাসছে ধুলা আর ক্ষতির উপাদান। ফলাফল, অসহনীয় পর্যায়ে পৌঁছেছে বায়ুদূষণের সবসীমা। ফলে দিল্লিকে ছাড়িয়ে আবারও শীর্ষে এখন বাংলাদেশের রাজধানী।অন্যদিকে বৈশ্বিক দূষিত শহরের তালিকায় এক নম্বরে ঢাকা এবং দুই নম্বরে অবস্থান করছে দিল্লি। তৃতীয় অবস্থানে আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুল। ঢাকার প্রতি ঘনমিটার বাতাসে সূক্ষ্ম ধূলিকণা ছিল ৩২৯.২ মাইক্রোগ্রাম। প্রতিদিনের বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা একিউআই সূচক একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটুকু নির্মল বা দূষিত সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয় এবং তাদের জন্য কোন ধরনের স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি হতে পারে তা জানায়।
একিউআই সূচকে ৫০ এর নিচে স্কোর থাকার অর্থ হলো বাতাসের মান ভালো। সূচকে ৫১ থেকে ১০০ স্কোরের মধ্যে থাকলে বাতাসের মান গ্রহণযোগ্য বলে ধরে নেয়া হয়। একিউআই স্কোর ১০১ থেকে ১৫০ হলে সাধারণ নগরবাসী বিশেষ করে শিশু, বয়স্ক ও অসুস্থ রোগীরা স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়তে পারেন। একিউআই স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে নগরবাসীর প্রত্যেকের স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব পড়তে পারে, বিশেষ করে শিশু, বৃদ্ধ ও রোগীরা স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়তে পারেন।
কেননা, এতে করে পরিবেশের ভয়াবহতা থেকে শুরু করে মানুষের শ্বাস প্রক্রিয়া আক্রান্ত করে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়। বিশ্বের দূষিত শহরগুলোতে মানুষের আয়ু হ্রাস, মৃত্যু ও স্বাস্থ্যঝুঁকির অন্যতম কারণ এ ক্ষতিকর ধূলিকণা।
একিউআই স্কোর ৩০১ থেকে ৫০০ বা তারও বেশি হলে বাতাসের মান ঝুঁকিপূর্ণ মনে করা হয়। এসময় স্বাস্থ্য সতর্কতাসহ প্রত্যেক নগরবাসীর জন্য জরুরি অবস্থা হিসেবে বিবেচিত হয়। বিশ্বব্যাংক ও পরিবেশ অধিদপ্তরের এক প্রতিবেদনে ঢাকার বায়ুদূষণের প্রধান কারণ হিসেবে এই শহরের চারপাশে অবস্থিত ইটভাটাকে চিহ্নিত করা হয়েছে।