বৃহস্পতিবার কোম্পানিটির বিদেশী পরিচালকদের সাথে বৈঠকের পর বিএসইসি এ সিদ্ধান্ত নেয় । এর আগে, বিএসইসি রিং শাইন এর আর্থিক অবস্থান তদন্ত করতে কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
সুত্র মতে, গত ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ৯৮২কোটি ৩৭ লাখ টাকার পণ্য রফতানি করেছে, তবে ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রথম নয় মাসের মধ্যে মূলধনের ঘাটতির মুখোমুখি হয়েছে। একই সঙ্গে বিক্রয় হ্রাস পেয়েছে এবং সর্বশেষ তৃতীয় প্রান্তিকে লোকসান দেখিয়েছে কোম্পানিটি।
সূত্র জানায়, কমিশন জানতে চেয়েছে রফতানির বিশাল অঙ্কের অর্থ কোথায় গেল এবং কেন এটি সমস্যায় পড়েছে।
কোম্পানি বলেছে, কোভিড-১৯ মহামারীর কারণে তাদের নিয়মিত উৎপাদন বাঁধাগ্রস্থ হয়েছে।ফলে মূলধনের ঘাটতি, বিদেশি ক্রেতাদের কাছ থেকে ক্রয় আদেশ হ্রাস এবং আমদানিকৃত কাঁচামালের অভাবের কারণে কারখানা বন্ধ রয়েছে। ২৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত কারখানা বন্ধ রাখার ঘোষনা দেয়। তবে সেপ্টেম্বরে বলা হয়েছিল এক মাসের জন্য কারখানা বন্ধ রাখবে।
এদিকে, রিং শাইন এখনও এর প্রাথমিক গনপ্রস্থাবের তহবিল ব্যবহার করতে সক্ষম হয়নি। কোম্পানিটি ডেনিম প্ল্যান্ট স্থাপন এবং ব্যাংক ঋণ পরিশোধের জন্য ২০১৯ সালে বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে ১৫০ কোটি টাকার তহবিল সংগ্রহ করেছিল।
গত অর্থবছরের তৃতীয় প্রান্তিকে কোম্পানির নিট লোকসান হয়েছে ৭কোটি ৯২ লাখ টাকা।যেখানে আগের অর্থবছরের একই সময়ে নিট মুনাফা হয়েছিল ১৩ কোটি ৯২ লাখ টাকা।
গত অর্থবছরের তৃতীয় প্রান্তিকে ৮০ কোটি ৯৪ লাখ টাকা রফতানি করেছিল। যা আগের অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ২৫৭ কোটি ২৪ লাখ টাকা।