সহজেই ‘এমআরটি’ বা র্যাপিড পাসের কার্ডটি স্ক্যান করে স্মার্টফোনেই দেখা যাবে তথ্য।
অ্যানড্রয়েড অথবা আইওএস—দুটি প্ল্যাটফরমেই অ্যাপটি পাওয়া যাবে। ব্যবহারের জন্য অবশ্যই ফোনে থাকতে হবে এনএফসি সুবিধা। বর্তমানে প্রায় সব আইফোন এবং মাঝারি বাজেটের অ্যানড্রয়েডেই প্রযুক্তিটি রয়েছে।
সরাসরি অ্যাপল অ্যাপ স্টোর অথবা গুগল প্লে স্টোর থেকে অ্যাপটি ডাউনলোড করা যাবে। অ্যাপে প্রবেশ করলেই শুরুতে দেখা যাবে এনএফসি চালুর অনুরোধ। এনএফসি চালু করে এমআরটি অথবা র্যাপিড পাসের কার্ডটি ফোনের পেছনে থাকা এনএফসি সেন্সরে ছোঁয়ালেই বেশ কিছু তথ্য দেখা যাবে।
অ্যাপটিতে দেখা যাবে পাসে আর কত টাকা ব্যালান্স অবশিষ্ট রয়েছে।
সঙ্গে পাওয়া যাবে শেষ দশটি যাত্রার বিবরণ, কোন স্টেশন থেকে কোথায় যাত্রা করা হয়েছে এবং তার ভাড়া ছিল কত। যারা নিয়মিত অ্যাপটি ব্যবহার করবে তাদের জন্য রাখা হয়েছে যাত্রার ‘হিস্টোরি সেভ’ করার সুবিধাও। কেননা পাসের মধ্যে শেষ ১০টি যাত্রার বেশি তথ্য সেভ থাকে না। এ ছাড়াও যাত্রার আগেই সম্ভাব্য ভাড়া হিসাব করার অপশনও রয়েছে।
ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কম্পানি লিমিটেড বা ‘ডিএমটিসিএল’-এর সঙ্গে অ্যাপটির নির্মাতাদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই।
অ্যাপের মাধ্যমে তাই ব্যালান্স রিচার্জ করা যাবে না। সরাসরি এমআরটি বা র্যাপিড পাস কার্ড স্ক্যান করার মাধ্যমেই অ্যাপটি কাজ করে, বাইরের কোনো সার্ভারের ওপর নির্ভরশীল নয়। অ্যাপটি তৈরিতে কাজ করেছেন ১০ জনেরও বেশি স্বেচ্ছাসেবী নির্মাতা, তবে প্রধান উদ্যেগটি নিয়েছেন অনিরুদ্ধ অধিকারী। তিনি জানান, শুধু যাত্রীদের সুবিধা বিবেচনা করেই অ্যাপটি তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। যাতে ভবিষ্যতে অন্যরাও প্রজেক্টটি কাজে লাগাতে পারে সে জন্য পুরো কোডই রেখেছেন ওপেনসোর্স।
এমআরটি বাডি সম্পর্কে আরো জানতে বা ডাউনলোড লিংক পেতে mrtbuddz.com ভিজিট করলেই চলবে।