কোভিড-১৯ ধাক্কায় যখন পুরো বিশ্ব নাস্তানাবুদ। বাংলাদেশের অর্থনীতিতেও সবগুলো খাতে ধাক্কা লেগেছে। এমন অবস্থায় ৮ দশমিক ২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ধরে ৫ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা করে সরকার। রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয় ৩ লাখ ৮২ হাজার কোটি টাকা। বড় অংকের বাজেটের উন্নয়ন ব্যয় ধরা হয় ২ লাখ ৫ হাজার কোটি টাকা। উদ্দেশ্য অর্থনীতি পুনরুদ্ধার। ঝুঁকিপূর্ণ হলেও অর্থনীতি সচল রাখার কিছু সিদ্ধান্তের ইতিবাচক ফলও মিলছে। বড় প্রকল্পগুলোর কাজও এগিয়ে নেয়া হচ্ছে। কিন্তু অর্থবছরের প্রথম চারমাসে রাজস্ব আদায়ে ২০ হাজার কোটি টাকা পিছিয়ে আছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড- এনবিআর।
পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য জ্যেষ্ঠ সচিব ড. শামসুল আলম বলেন, আগামী জুনের পর, ২০২১-২২ অর্থবছরের পুরোপুরি আগের অবস্থায় ফিরে যাবো। আমাদের অর্থনীতির বিভিন্ন ক্ষেত্রে যে গতি ছিল সেই গতিতেই আবার ফিরে যাবো। বছর শেষে জিডিপি প্রবৃদ্ধি লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বড়জোড় ৩ শতাংশ কম হবে; এর বেশি না। এটাও আমার দ্রুতই ধরে ফেলবো। আর রাজস্ব আদায়ের ক্ষেত্রে আমরা কিছু সংস্কারের কথা বলেছি এনবিআর'কে। তারা তা করলে রাজস্ব আদায়েও বড় ধরনের ইতিবাচক পরিতর্বন আসবে। করোনা মোকাবিলায় অর্থনীতির ঘুরে দাড়ানো আশাব্যঞ্জক হিসেবে দেখছেন অর্থনীতিবিদরা। তবে অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা বা বাজেট বাস্তবায়নে রাজস্ব আয় বাড়ানোর কোন বিকল্প নেই।
এ প্রসঙ্গে, অর্থনীতি বিষয়ক গবেষণা সংস্থা পলিসি রিসার্চ ইন্সটিটিউট -পিআরআই'র নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর বলেন, রাজস্ব আদায়ের অবস্থা খুবই খারাপ। সরকারের যে ব্যয় ব্যবস্থাপনা তা বিশেষ পর্যালোচনা করে করতে হবে। কারণ, রাজস্ব আদায় বাড়াতে না পারলে বাজেট বাস্তবায়ন হবে না, পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা বাস্তবায়নে অর্থায়ন হবে না।