বাংলাদেশের সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্কোন্নয়নে আগ্রহী দ. কোরিয়া

বাংলাদেশের সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্কোন্নয়নে আগ্রহী দ. কোরিয়া

বাংলাদেশের সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়ন ও সম্প্রসারণে দক্ষিণ কোরিয়া আগ্রহী বলে জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত দেশটির রাষ্ট্রদূত পার্ক ইয়ং সিক।


বাংলাদেশের ও কোরিয়ার মধ্যে বর্তমানে ইকোনমিক পার্টনারশিপ চুক্তি (ইপিএ) স্বাক্ষরের কাজ চলমান। ইপিআই স্বাক্ষর হলে দুদেশের মধ্যে অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও জোরদার হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।


বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজ (বিসিআই) কার্যালয়ে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।


বিসিআই সভাপতি আনোয়ার-উল-আলম চৌধূরীর (পারভেজ) সভাপতিত্বে সভায় উভয় দেশের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয় বিশেষত শিল্প ও ব্যবসা ক্ষেত্রে পরস্পরের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়।


বিসিআইয়ের পক্ষ থেকে প্রেসিডেন্ট আনোয়ার-উল আলম চৌধূরী (পারভেজ), সিনিয়র সহ-সভাপতি প্রীতি চক্রবতী, পরিচালক চৈতন্য কুমার দে (চয়ন) এবং যেয়াদ রহমান বক্তব্য রাখেন।


এছাড়া বাংলাদেশ সিরামিক ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিসিএমইএ) ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মঈনুল ইসলাম বক্তব্য রাখেন। বিসিআইয়ের সেক্রেটারি জেনারেল বিসিআইয়ের কার্যক্রম এবং বাংলাদেশ ও কোরিয়ার মধ্যে যৌথভাবে কাজ করার সম্ভাব্য ক্ষেত্রগুলো তুলে ধরেন।


বিসিআই সভাপতি তার বক্তব্যের শুরুতে বাংলাদেশের পোশাকশিল্পের যাত্রার শুরুর দিকে কোরিয়ার ভূমিকা স্মরণ করেন।


তিনি বলেন, কোরিয়ার মতো কারিগরি জ্ঞানে সমৃদ্ধ দেশ থেকে দক্ষ প্রশিক্ষক এনে দেশে প্রশিক্ষক তৈরি করতে চাই, যারা পরবর্তিতে সারাদেশে দক্ষ কর্মী ও ব্যবস্থাপক তৈরি করবে এবং দক্ষ জনবলের যে স্বল্পতা আছে তা নিরসন করতে সহায়তা করবে।


বিসিআই সভাপতি দেশে দক্ষ প্রশিক্ষক তৈরি, কোর্স কারিকুলাম ও প্রশিক্ষণ ম্যানুয়াল (টিওটি), আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারের সক্ষমতা, নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে এবং রপ্তানি বাণিজ্য সম্প্রসারণের জন্য কোরিয়ার সহযোগিতা আহ্বান করেন।


তিনি বলেন, আমাদের লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং, অ্যাগ্রো প্রসেসিং, আইসিটি ইত্যাদি ক্ষেত্রে কোরিয়ান সহায়তা খুবই দরকার। কোরিয়ান ভাষা শেখারও ভালো সুযোগ সুবিধা দরকার।


রাষ্ট্রদূত পার্ক ইয়ং সিক বলেন, বাংলাদেশ ও কোরিয়ার মধ্যে ১৯৭৩ সালে ডিপ্লোমেটিক সম্পর্ক স্থাপনের পর থেকে উভয় দেন একত্রে কাজ করে যাচ্ছে।


তিনি বলেন, বাংলাদেশের জাহাজভাঙা শিল্প এবং তৈরি পোশাকশিপ্ল খাত অনেক গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশের দক্ষতা উন্নয়নের জন্য কোরিয়ার সহায়তায় বর্তমানে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও খুলনায় তিনটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র পরিচালিত হচ্ছে।


রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, কইকা (কোরিয়ান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি) বর্তমানে বাংলাদেশে কর্মীদের টেকনিক্যাল ট্রেনিং নিয়ে কাজ করছে। বাংলাদেশে কোরিয়ান ব্যবসায়ীরা ভিসা ও কাস্টমস ক্লিয়ারেন্স জটিলতা ফেস করেন। নবায়নযোগ্য জ্বালানি বিডিং প্রক্রিয়া বেশ জটিল ও সময়সাপেক্ষ।


বিসিআই প্রেসিডেন্ট এসব বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সঙ্গে কথা বলবেন বলে কোরিয়ার রাষ্ট্রদূতকে আশ্বস্ত করেন।


সভায় বিসিআই পরিচালক শহিদুল ইসলাম নিরু, জিয়া হায়দার মিঠু, জাহাঙ্গীর আলম, মাহফুজুর রহমান এবং বিসিআই সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

আর্কাইভ থেকে

আরও পড়ুন

তিন দেশ থেকে ২ লাখ ১০ হাজার টন সার কিনবে সরকার
মন্দিরে দায়িত্বরত পুলিশের গুলি চুরি, ওসিসহ ৮ জন প্রত্যাহার
৫ আগস্টের পর চাঁদাবাজি বেড়েছে: অর্থ উপদেষ্টা
দুর্গাপূজার ছুটিতে শুল্ক স্টেশনে চালু থাকবে আমদানি-রপ্তানি
আগামী অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি হবে ৫ শতাংশ: এডিবি
স্মারক রৌপ্য মুদ্রার দাম বাড়লো
ফের বাড়লো স্বর্ণের দাম, ভরি ১ লাখ ৯৫ হাজার
তিন প্রকল্পে ৩ হাজার ৬২৯ কোটি টাকা দেবে এডিবি
দেশের সব জুয়েলারি প্রতিষ্ঠান বন্ধ মঙ্গলবার
রোহিঙ্গাদের জন্য ৩.৪ মিলিয়ন ডলার দিচ্ছে জাপান