শিগগির সাংবাদিকদের অ্যাক্রিডিটেশনের জন্য আবেদনপত্র আহ্বান

শিগগির সাংবাদিকদের অ্যাক্রিডিটেশনের জন্য আবেদনপত্র আহ্বান

প্রধান উপদেষ্টার ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি আবুল কালাম আজাদ মজুমদার বলেছেন, খুব শিগগির নতুন প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন নীতিমালা-২০২৫’এর আওতায় আবেদনপত্র আহ্বান করা হবে। আবেদন পাওয়ার পর একটি নির্দিষ্ট সময়ের পর আবেদনপত্রগুলো পর্যালোচনা করে সবাইকে নতুন কার্ড ইস্যু করা হবে। যতক্ষণ পর্যন্ত নতুন কার্ড ইস্যু না করা হচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত আগের কার্ডগুলো বহাল থাকবে।


বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর বেইলি রোডের ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং আয়োজিত ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।


আবুল কালাম আজাদ মজুমদার আগের অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড নীতিমালার সঙ্গে বর্তমান নীতিমালার কিছু পার্থক্য তুলে ধরেন। তিনি বলেন, আগের নীতিমালার প্রথম শর্ত ছিল গণমাধ্যম কর্মীরা সরকারের উন্নয়ন প্রচার করবে। বর্তমান নীতিমালায় সরকারের উন্নয়ন বয়ান প্রচার বাদ দেওয়া হয়েছে।


আগে স্থায়ী ও অস্থায়ী দুই ধরনের অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড দেওয়া হতো। এতে বৈষম্য সৃষ্টি করা হতো। কাউকে কাউকে স্থায়ী অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড দেওয়া হতো আবার কাউকে কাউকে এক বছর মেয়াদী অস্থায়ী কার্ড দেওয়া হতো। মেয়াদ ফুরিয়ে গেলে কার্ড নবায়ন করতে গিয়ে নানা হয়রানির শিকার হতে হতো। এখন থেকে অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড একটাই হবে আর মেয়াদ হবে তিন বছর।


আগে যে নীতিমালা ছিল সেখানে সাংবাদিকদের জন্য অবমাননাকর একটি ধারা ছিল। সেই ধারায় কোনো সাংবাদিক বিদেশ যেতে চাইলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অণু বিভাগ কিংবা প্রধান তথ্য কর্মকর্তার অনুমতি নিতে হতো। বাস্তবে যদিও এ ধারার প্রয়োগ খুব একটা ছিল না কিন্তু সরকার চাইলে অনুমতি ছাড়া বিদেশ গেলে অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড বাতিল করতে পারতো। ফলে ধারাটি নতুন নীতিমালা বাদ দেওয়া হয়েছে।


আগে সাংবাদিকদের অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড দেওয়ার ক্ষমতা এককভাবে প্রধান তথ্য কর্মকর্তার হাতে ছিল। বর্তমান নীতিমালায় প্রধান তথ্য কর্মকর্তার নেতৃত্বে একটি কমিটি করা হয়েছে। কাঠ দেওয়ার আগে কমিটির সঙ্গে আলোচনা করা হবে। সেখানে সাংবাদিক প্রতিনিধিও রাখা হয়েছে। কমিটির সিদ্ধান্তর ব্যাপারে কেউ সংক্ষুব্ধ হলে, আপত্তি থাকলে তা আপিল কমিটির কাছে আবেদন করতে পারবেন। আপিল কমিটি তার আবেদনের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিয়ে নিষ্পত্তি করবেন।


আগের নীতিমালায় ফৌজদারী অপরাধে কোনো সাংবাদিক জড়িত থাকলে বা অভিযোগ উঠলে তার কার্ড বাতিল হবে কি না সে ব্যাপারে সুনির্দিষ্টভাবে কোনো কিছুর উল্লেখ ছিল না। কিন্তু বর্তমান নীতিমালায় কোনো সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ফৌজদারি অপরাধের অভিযোগ উঠলে তার কার্ড স্থগিত হয়ে যাবে, অভিযোগ প্রমাণিত হলে তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাতিল হয়ে যাবে।


আগের নীতিমালায় পত্রিকার সার্কুলেশন অনুসারে অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড দেওয়া হতো। কিন্তু সার্কুলেশনের ব্যাপারে অনেকের আপত্তি থাকায় সেটির বদলে এখন কর্মরত সাংবাদিকের সংখ্যার ভিত্তিতে কার্ড দেওয়ার নিয়ম করা হয়েছে। তবে সংখ্যা নিয়ে কোনো গণমাধ্যম যদি ছলচাতুরি করে সেটি যাচাই-বাছাই করার উপায় রয়েছে।

আর্কাইভ থেকে

আরও পড়ুন

রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে জাতিসংঘে প্রধান উপদেষ্টার ৭ প্রস্তাব
জাতিসংঘে রোহিঙ্গা ও সংখ্যালঘু বিষয়ক সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টা
এনসিপিকে শাপলার বিকল্প প্রতীক নিতে চিঠি দেবে ইসি
শর্ত পূরণ করেছে এনসিপিসহ দুটি দল: ইসি
স্ত্রীসহ সাবেক এমপি আলী আজমের বিরুদ্ধে মামলা করবে দুদক
ফ্যাসিস্ট শক্তি মোকাবিলা করা বড় চ্যালেঞ্জ: আইজিপি
রোহিঙ্গা পরিস্থিতি নিয়ে জাতিসংঘের উচ্চপর্যায়ের সম্মেলন আজ
দূষিত বায়ুর তালিকায় ঢাকার অবস্থান দ্বিতীয়
আজ বিদ্যুৎ থাকবে না যেসব এলাকায়
বাংলাদেশে হিন্দুবিদ্বেষী কোনো সহিংসতা নেই: প্রধান উপদেষ্টা