তাছাড়া বিশেষায়িত তিন বিশ্ববিদ্যালয় দেশের চার প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে গুচ্ছ পদ্ধতির ভর্তি পরীক্ষায় যেতে চাইছে। তবে তাতে এখনও সম্মত হয়নি বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)।
অন্যদিকে স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয় চারটি— ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী ও জাহাঙ্গীরনগর গুচ্ছ পদ্ধতিতে যেতে চায় না। আর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস (বিইউপি) স্বতন্ত্রভাবেই ভর্তি করাবে শিক্ষার্থীদের।
ইউজিসি বলছে, কোনো বিশ্ববিদ্যালয় যদি গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষায় না আসে তাহলে জোর করে চাপিয়ে দেয়া হবে না। এটি তাদের সিদ্ধান্ত। তবে পরিস্থিতি বিবেচনায় তাদের এই পদ্ধতিতে আসার জন্য আহবান জানাচ্ছি।
ইউজিসি সূত্রে জানা গেছে, এবার ৩০টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নিতে রাজি হয়েছে। এর মধ্যে ৮টি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ১৯টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। তাছাড়া ৩টি প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট, রুয়েট ও কুয়েট) যুক্ত হয়েছে। সর্বশেষ বুয়েট গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তিতে যুক্ত হওয়ার সিদ্ধান্ত লিখিতভাবে জানিয়েছে।
এছাড়া বাকি তিনটি বিশেষায়িত বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ টেক্সটাইল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেরিটাইম এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এভিয়েশন অ্যান্ড অ্যারোস্পেস ইউনিভার্সিটি গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষায় আসলেও কোন গুচ্ছে যাবে সেটি এখনও নির্ধারণ করা হয়নি। তবে চার প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে গুচ্ছ পদ্ধতির ভর্তি পরীক্ষায় যেতে চাইছে তারা। কিন্তু তাতে এখনও সম্মত হয়নি বুয়েট।
এদিকে, স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয় চারটি এই পদ্ধতিতে না নিয়ে নিজেদের মতো করে ভর্তি পরীক্ষা নেবে। এর মধ্যে ঢাবি ভর্তি পরীক্ষা নিতে নিজের অবস্থান ও পরিকল্পনা ইতোমধ্যেই প্রকাশ করেছে।
ইউজিসি সদস্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীর বলেন, ৩০টি বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছ পদ্ধতির ভর্তি পরীক্ষায় যাচ্ছে। তবে প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সঙ্গে বৈঠক করা হয়নি। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়সহ (বুয়েট) অন্য তিনিটি রুয়েট, কুয়েট ও চুয়েটকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। বুয়েটের চিঠির উত্তর পাওয়ার পর অন্য তিনটার সঙ্গে আলোচনা করে করবো। বিশেষায়িত তিনটি বিশ্ববিদ্যালয় যেতে চাচ্ছে বুয়েটের সঙ্গে, তবে বুয়েট সম্মত হচ্ছে না।