বিশ্বের শীর্ষ সয়াবিন আমদানিকারক দেশ হলাে চীন। দেশটির জেনারেল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অব কাস্টমসের সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি বছরের অক্টোবরে যুক্তরাষ্ট্র থেকে চীনের বাজারে সব মিলিয়ে ৩৪ লাখ টন সয়াবিন আমদানি হয়েছে। আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় গত অক্টোবরে যুক্তরাষ্ট্র থেকে চীনে কৃষিপণ্যটির আমদানি বেড়েছে ১৯৬ দশমিক ৪ শতাংশ। ২০১৯ সালের অক্টোবরে যুক্তরাষ্ট্র থেকে চীনে সাকল্যে ১১ লাখ ৪৭ হাজার টন সয়াবিন আমদানি হয়েছিল।
চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে যুক্তরাষ্ট্র থেকে চীনের বাজারে সব মিলিয়ে ১১ লাখ ৭০ হাজার টন সয়াবিন আমদানি হয়েছিল। সেই হিসেবে শুধু আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় নয়, বরং এক মাসের ব্যবধানে চীনে মার্কিন সয়াবিন আমদানি বেড়েছে ২২ লাখ টনের বেশি।
কৃষিপণ্যবিষয়ক পরামর্শক প্রতিষ্ঠান কোফেডের বাজার বিশ্লেষক ঝি হুইলান জানিয়েছেন, চলমান বাণিজ্যযুদ্ধ নিরসনে আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করছে ওয়াশিংটন ও বেইজিং। প্রথম পর্যায়ের চুক্তি এগিয়ে নেয়া হচ্ছে। এর দৃশ্যমান প্রভাব পড়তে শুরু করেছে বাজারে। গত অক্টোবরে চীন-মার্কিন সয়াবিন বাণিজ্য এক লাফে অনেকটা বেড়েছে।
তিনি আরও বলেন, চীনা আমদানিকারকরা যুক্তরাষ্ট্র থেকে যে হারে সয়াবিন আমদানি বাড়াচ্ছেন, তাতে শিগগিরই তা ব্রাজিল থেকে কৃষিপণ্যটির আমদানির পরিমাণকে ছাড়িয়ে যেতে পারে। ফলে আগামী দিনগুলোয় ফের চীন-মার্কিন সয়াবিন বাণিজ্য আগের মতো পোক্ত হয়ে উঠবে।
বাণিজ্যযুদ্ধ শুরুর পর যখন চীনের বাজার যুক্তরাষ্ট্রের সয়াবিনের জন্য বন্ধ হয়ে যায়, তখন চীনা আমদানিকারকরা ব্রাজিল থেকে কৃষিপণ্যটির আমদানি বাড়িয়েছিলেন। চলতি বছরের অক্টোবরে ব্রাজিল থেকে চীনে সব মিলিয়ে ৪২ লাখ ৩৩ হাজার টন সয়াবিন আমদানি হয়েছে, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ১১ দশমিক ৬ শতাংশ বেশি। গত বছরের অক্টোবরে ব্রাজিল থেকে চীনে মোট ৩৭ লাখ ৯৩ হাজার টন সয়াবিন আমদানি হয়েছিল।