আজ (১৪ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ মেরিন ফিশারিজ অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সামুদ্রিক মৎস্য আইন-২০২০ নিয়ে এক মতবিনিময় সভায় এসব কথা জানান তিনি।
মন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ একটি কৃষিনির্ভর দেশ। কৃষির একটি বড় অংশ মৎস্য খাত। এ খাতকে সমৃদ্ধ করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনেক যুগান্তকারী পদক্ষেপ নিয়েছেন। মৎস্য গবেষণাসহ ব্লু ইকোনমি কার্যকর করার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছেন। এমনকি গভীর সমুদ্রে টুনা মাছ সংগ্রহের জন্য সরকার প্রকল্প হাতে নিয়েছে। মৎস্য উৎপাদনে বাংলাদেশ এখন বিশ্বের বিস্ময়। আমরা অনেক বড় বড় দেশকে অতিক্রম করে মৎস্য উৎপাদনে ভালো অবস্থানে পৌঁছেছি।’
এ সময় কোনোভাবেই সামুদ্রিক মৎস্য খাত যেন প্রতিকূল অবস্থায় না পড়ে সেজন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেন মন্ত্রী। এ বিষয়ে তিনি আরও বলেন, ‘কেউ বেআইনি কাজ করলে আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে। তবে আইনের যাতে কোনো অপব্যবহার না হয়, সে ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সতর্ক থাকতে হবে। আইনের বিধি-বিধান দিয়ে কাউকে যেন জিম্মি করা না হয়, কোনো অনিয়ম যাতে না হয় এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নেয়া হবে।’
এ সময় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিব রওনক মাহমুদ, মৎস্য অধিদফতরের মহাপরিচালক কাজী শামস্ আফরোজ, মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. তৌফিকুল আরিফ, যুগ্ম-সচিব মো. হামিদুর রহমান, বাংলাদেশ মেরিন ফিশারিজ অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট নূরুল কাইয়ুম খান, প্রথম ভাইস প্রেসিডেন্ট ভাইস অ্যাডমিরাল (অব.) জহির উদ্দিন আহমেদ, মহাসচিব মসিউর রহমান চৌধুরীসহ অ্যাসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সম্প্রতি নতুন প্রণীত সামুদ্রিক মৎস্য আইন নিয়ে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের বিষয়ে বাংলাদেশ মেরিন ফিশারিজ অ্যাসোসিয়েশনের কেউ সম্পৃক্ত নন বলে অ্যাসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দ সভায় জানান। এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত বিষয়ের জন্য তারা দুঃখ প্রকাশ করেন।