২০২৫-২৬ অর্থবছরে অর্ন্তবর্তী সরকারের ঘোষিত বাজেটের আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়ায় পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশননের (বিএসইসি) অযোগ্য-ব্যর্থ চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের পদত্যাগ চেয়েছেন সাধারণ বিনিয়োগকারীরা। তাদের মতে, নিয়ন্ত্রক সংস্থার মতো একটা গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় সর্বোচ্চ পদে থেকেও বাজেটে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের জন্য কিছুই আনতে পারেনি। বাজেটে যে আশার আলো খুঁজছিলেন বিনিয়োগকারীরা, তা পূরণ হয়নি। এটি রাশেদ মাকসুদের ব্যর্থতা। এখন বাজারের চাহিদা হলো আস্থা। তার সাথে বাজারের চাহিদা হলো রাশেদ মাকসুদ এবং অর্থ উপদেষ্টার অপসারণ। তাদের অপসারণই হবে এই সরকারের ঈদ উপহার।
বুধবার (৬ জুন) রাজধানীর ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্ট ফোরামের (সিএমজেএফ) কনফারেন্স রুমে বাংলাদেশ ক্যাপিটাল মার্কেট ইনভেস্টর অ্যাসোসিয়েশন (বিসিএমআইএ) বাজেট পরবর্তী প্রতিক্রিয়া নিয়ে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। এসময় বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ সংরক্ষণে কাজ করা সংগঠনটির পক্ষ থেকে রাশেদ মাকসুদের ব্যর্থতা তুলে ধরে তার অপসারণের দাবি জানানো হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ ক্যাপিটাল মার্কেট ইনভেস্টর অ্যাসোসিয়েশনের (বিসিএমআইএ) প্রেসিডেন্ট এস.এম ইকবাল হোসাইন, সংগঠনের প্রধান মুখপাত্র মো. নুরুল ইসলাম মানিকসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
এসময় সংগঠনটির প্রেসিডেন্ট এস.এম ইকবাল হোসাইন বলেন, পুঁজিবাজারে টাকা লাগবে না, শুধু পলিসি লাগবে। অবস্থা এমন মনে হচ্ছে যেন রাশেদ মাকসুদের অপসারণ এই সরকারের জন্য পরাজয়। ওনারা পুঁজিবাজারটাকে শেষ করার জন্য গলা চেপে ধরেছে। যেখানে তিন হাজার কোটি টাকা ট্রেড হতো এখন দুইশো কোটি টাকার ট্রেড ভলিয়ম হয়ে গেছে। ড. ইউসূসের উদ্দেশ্যে বলছি, কোন কোন পরাজয় জয়ের চাইতেও গ্লানিকর হবে।
বাজেট বিষয়ে প্রতিক্রিয়ায় বিনিয়োগকারীদের পক্ষ থেকে তিনি বলেন, আমরা বাজেটে কি পেলাম? আমরা সাধারণ একটা দাবি জানিয়েছিলাম যে, অপ্রদর্শিত আয় শেয়ার বাজারে প্রবেশ করার সুযোগ দিতে পারে। ছোট্ট একটা দাবি। আমরা শর্ত দিয়েছিলাম যে, বৈধ টাকাই যেটাতে ট্যাক্স ফাঁকি দেওয়া হয়েছে সেটাকে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের সুযোগ দেওয়া হোক। সেটাতে ২৫ শতাংশ ট্যাক্স আরোপ করা হোক। নিদ্বিধায় সে যেন এটা বিনিয়োগ করতে পারে। সেইসাতে একটা নির্দিষ্ট সময় বেধে দেওয়া যায় যাতে সেই সময়ের মধ্যে শুধু লভ্যাংশ নিতে পারে কিন্তু ক্যাপিট্যাল উত্তোলন করতে পারবে না। আমরা তো চুরি-ডাকাতি, যারা টাকার বস্তা ফেলে গেছে তাদের টাকা আমরা কখনই এসব টাকা চাইনা। পুঁজিবাজারে যেন একটা প্রতিযোগীতা চলছে এটাকে শেষ করে দেওয়ার জন্য। এটাতো হতে পারে না।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, টানা ৯ মাস চরম সংকট চলছে পুঁজিবাজারে। বাজেটে যে আশার আলো খুঁজছিলেন বিনিয়োগকারীরা, তা পূরণ হয়নি। টানা দরপতন আর কমে যাওয়া লেনদেনে বিপর্যস্ত পুঁজিবাজারে প্রত্যক্ষ কোনও প্রণোদনা না থাকায় বিনিয়োকারীদের হতাশা আরও বেড়েছে। বিনিয়োগকারীদের প্রত্যাশা ছিলো বাজেটে শেয়ারবাজারে গতি ফেরাতে কার্যকর ও স্পষ্ট উদ্যোগ থাকবে, থাকবে মূলধনি মুনাফা বা লভ্যাংশ আয়ে কর রেহাই। কিন্তু এসব কিছুই মেলেনি ঘোষিত বাজেটে। অথচ নিয়ন্ত্রক সংস্থার চেয়ারম্যান রাশেদ মাকসুদ বাজেটে বিনিয়োগকারীদের জন্য কোনো উদ্যোগ নিয়ে আসতে পারেনি। তিনি এটা হেলায় ছেড়ে দিয়েছেন- যা হওয়ার হবে এমন অবস্থায়।
এসময় বিনিয়োগকারীদের পক্ষ থেকে বলা হয়, গত ৯ মাস টানা পতনে রয়েছে বাজার। এটা বিশ্বের কোনো শেয়ারবাজারে দেখা যায় না। রাশেদ মাকসুদ দায়িত্ব সেয়ার পর থেকেই পুঁজিবাজার পতনের বৃত্তে আটকে গেছে। তিনি যে ফ্যাসিস্টের দোসর তার প্রমাণ দিয়েছেন। তাঁর পদত্যাগ ছাড়া মার্কেট ঘুরে দাড়ানোর সম্ভাবণা নেই। তাঁর পদত্যাগেই একমাত্র সমাধান।
এসময় বাজেট প্রতিক্রিয়ায় বলা হয়, পুঁজিবাজারের মূল শক্তি বিনিয়োগকারী। তবে তাদের জন্য কোনো উদ্যোগ রাখা হয়নি। অথচ তাদের মূলধনি মুনাফা বা লভ্যাংশ আয়ে কর রাখা হয়েছে। নিজের ব্যক্তিগত অর্থ বিনিয়োগ করে যদি উপার্জিত আয় থেকে লাভের প্রায় অর্ধেক কর বাবদ দিয়ে দিতে হয় তাহলে পুঁজিবাজারে মানুষ কেনো বিনিয়োগ করবে। অবশ্যই বিনিয়োগকারীদের জন্য লভ্যাংশ আয়ে কর রেহাই দরকার ছিলো। সেই সঙ্গে পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট যে তিনটি উদ্যোগ বাজেটে রাখা হয়েছে সেগুলো একটিও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের জন্য না। এমনকি
এসএম