কয়েকদিন পর পর বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বিলিয়ন ডলারের ঘর টপকে যাওয়া এখন নিয়মিত ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে।বাংলাদেশী মুদ্রায় বর্তমান রিজার্ভের পরিমাণ প্রায় ৩ লাখ ৫৭ হাজার কোটি টাকা। এই রিজার্ভ দিয়ে দেশের প্রায় ১০ মাসের আমদানি ব্যয় নির্বাহ করা সম্ভব।
বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, ‘এই প্রথম বৈদেশিক মুদ্রার মজুত ৪২ বিলিয়ন ডলারের ঘর অতিক্রম করল। সর্বশেষ গত ২৮ অক্টোবর এই মজুত আরেকটি বিলিয়ন ডলারের ঘর টপকে ৪১.০৩ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়েছিল। গতবছর এসময় মজুতের পরিমাণ ছিল ৩২.৩৯ বিলিয়ন ডলার।’
করোনাভাইরাসের তাণ্ডবে বড় ধাক্কা খেয়েছে দেশের আমদানি খাত। ২০১৯-২০ অর্থবছরে আমদানি কমেছিল ৮ দশমিক ৫৬ শতাংশ। আর চলতি অর্থবছরের অক্টোবর পর্যন্তই আমদানি ১২ দশমিক ৯৯ শতাংশ কমেছে। অন্যদিকে ব্যবসা, ভ্রমণ, চিকিত্সাসহ বিভিন্ন কারনে বাংলাদেশীদের বিদেশযাত্রাও প্রায় বন্ধ।
এ পরিস্থিতির মধ্যেই দেশের প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে। চলতি অর্থবছরের প্রথম ৯ মাস বা জুলাই-নভেম্বর সময়ে দেশে প্রবাসী আয় এসেছে ১ হাজার ৮৯ কোটি ডলার, যা আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ৪১ দশমিক ১৮ শতাংশ বেশি। চলতি ডিসেম্বর মাসেও আগের চেয়ে বেশি রেমিট্যান্স আসছে। ১-১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত দশ দিনে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ৮১ কোটি ৪০ লাখ ডলার। রেমিট্যান্সের উচ্চ প্রবৃদ্ধিই দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভকে ৪২ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করেছে।
অন্যদিকে, বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের ক্ষেত্রে বড় বিস্ময় প্রবাসীদের পাঠানো অর্থের পরিমাণ বৃদ্ধি। চলতি অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে প্রবাসীদের পাঠানো অর্থের পরিমাণ ছিল ১০.৯০ বিলিয়ন ডলার, যা গত বছরের একই সময়ে ছিল ৭.৭১ বিলিয়ন ডলার। আবার করোনা মহামারির মধ্যে ছোট আকারে হলেও রপ্তানি বেড়েছে।