জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে ভোর ৬টা ৩৪ মিনিটে ৩১বার তোপধ্বনির মাধ্যমে শুরু হয় বিজয় দিবসের আনুষ্ঠানিকতা।
প্রথমে রাষ্ট্রপতির পক্ষে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। পরে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন সচিবরা। এ সময় বিউগলে বেজে ওঠে করুণ সুর।
শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে গার্ড অব অনার প্রদান করে সশস্ত্র বাহিনীর একটি চৌকস দল।
করোনা পরিস্থিতির কারণে এবার বিজয় দিবসের কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়নি।
পর্যায়ক্রমে জাতীয় স্মৃতিসৌধে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। এরপর জাতীয় সংসদের স্পিকার, ডেপুটি স্পিকার, প্রধান বিচারপতির পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।
রাষ্ট্রপতির পক্ষে তার সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস এম শামিম উজ জামান ও প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে তার সামরিক সচিব মেজর জেনারেল নকিব আহমদ চৌধুরী শহীদ বেদীতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। তিন বাহিনীর একটি চৌকস দল এ সময় সামরিক কায়দায় সালাম জানায়।
মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে এ বছর রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে তাদের সামরিক সচিবরা জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।এরপর বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন, রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গসহ সর্বস্তরের জনগণের পক্ষ থেকে শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
১৬ ডিসেম্বর বাঙালি জাতির জীবনে সবচেয়ে গৌরবোজ্জ্বল দিন, পরাধীনতার শৃঙ্খলমুক্তির দিন। সারাদেশের মানুষ আজ আনন্দ-উৎসব এবং একই সঙ্গে বেদনা নিয়ে দিবসটি পালন করে।স্বাধীনতার জন্য যে অকুতোভয় বীর সন্তানেরা নিজেদের জীবন উৎসর্গ করেছেন,এ মহতী অর্জনে রয়েছে ৩০ লাখ শহীদের আত্মদান আর ২ লাখ মা-বোনের সম্ভ্রম।এর ফলে পৃথিবীর বুকে বাংলাদেশ নামের একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম দেশের অভ্যুদয় ঘটে। । প্রতি বছর এই দিনে বীর শহীদদের শ্রদ্ধা জানায় জাতি।