তারেক রহমান উল্লেখ করেন, ১৯৭১ সালের শহীদ মুক্তিযোদ্ধারা যেভাবে জনগণের হৃদয়ে স্মরণীয় হয়ে আছেন, ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানের শহীদরাও একইভাবে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণীয়-বরণীয় হয়ে থাকবেন। তিনি বলেন, গত বছর কোটা সংস্কার আন্দোলন শুরু হলেও, ১৬ তারিখের পর তা কেবল কোটায় সীমাবদ্ধ থাকেনি। বরং সেই সময়েই দৃঢ় বিশ্বাস জন্মেছিল যে, মাফিয়া সরকারের পতন শুধু সময়ের ব্যাপার। এই বিশ্বাস থেকেই সকল গণতান্ত্রিক দল একটি সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা গ্রহণ করেছিল এবং এটি নিশ্চিত করা হয়েছিল যাতে আন্দোলন কোনো একক দলের পরিচয়ে পরিচিত না হয়।
তারেক রহমান আরও বলেন, তিনি ২০১৪ সাল থেকেই কোটা ব্যবস্থার সমালোচনা করে আসছেন। তার মতে, গণঅভ্যুত্থানের বীর শহীদরা জাতির গৌরব। তাদের কাঙ্ক্ষিত বাংলাদেশ গড়ার মধ্য দিয়েই তাদের প্রতি যথার্থ সম্মান জানানো সম্ভব। আর এই কাঙ্ক্ষিত রাষ্ট্র বিনির্মাণের প্রথম ও প্রধান শর্তই হলো 'জনগণের সরকার' প্রতিষ্ঠা। এর জন্য এমন একটি পরিবেশ তৈরি করা জরুরি, যেখানে জনগণ স্বাধীনভাবে তাদের পছন্দের প্রার্থীকে নির্বাচিত করতে পারবে।