সোমবার (২১ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে অবস্থিত এনইসি সম্মেলন কক্ষে এ প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়। প্রতিবেদনটি আন্তর্জাতিকভাবে উন্মোচনের ছয় দিন পর আজ বাংলাদেশে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করল জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি)। মানব উন্নয়ন সমীক্ষা ২০২০ এর শিরোনাম ‘দ্য নেক্সট ফ্রন্টিয়ার: হিউম্যান ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড এনথ্রোপোসিন’।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, মানব উন্নয়নে বাংলাদেশের অর্জন অসাধারণ। ১৯৯০ হতে ২০১৯ সাল পর্যন্ত এই ৩০ বছরে মানব উন্নয়ন সূচক শতকরা ৬০ দশমিক ৪ ভাগ বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০১৯ সালে বাংলাদেশের সূচকের মান মধ্যম সারির দেশগুলোর গড় মানের চেয়ে বেশি ছিল।
এবারের সমীক্ষায় পরীক্ষামূলকভাবে নতুন একটি সূচক সংযোজন করা হয়েছে। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, কোভিড-১৯ অতিমারি সাম্প্রতিক সময়ের সবচেয়ে বড় সংকট হিসেবে আবির্ভূত হলেও পরিবেশের উপর মানুষের ক্রমাগত অভিঘাত বন্ধ না হলে ভবিষ্যতেও মানব জাতিকে এরূপ সংকটের মুখোমুখি হতে হবে।
এ সময় পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, ‘নিজের মায়ের রক্ত খেয়ে যেমন বাচ্চা বাড়ে, ঠিক তেমনি প্রকৃতিকে খেয়েও আমরা মানবজাতি বেড়েছি। সুতরাং আমাদের মধ্যে সচেতনতা এসেছে যে, মাকেও বা প্রকৃতিকেও রক্ষা করতে হবে। সেদিকেও আমাদের নজর ঘুরাচ্ছি। সারাবিশ্বে যে বিশাল লীলা বা খেলা হচ্ছে, আমাদের দেশেও তার একটা অংশ হচ্ছে। আমাদের সরকার ও জনগণ বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বা কাছাকাছি প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’
মানব উন্নয়ন সূচকের মাধ্যমে মূলত একটি দেশের মানুষের স্বাস্থ্য, শিক্ষা, জীবনযাত্রার সামগ্রিক অবস্থা পরিমাপ করা হয়, তবে এবার মানব উন্নয়ন সমীক্ষা প্রবর্তনের ৩০তম বার্ষিকীতে দুটি বিষয় নতুনভাবে যুক্ত করা হয়েছে। তা হলো কার্বন ডাই অক্সাইড নিঃসরণের মাত্রা (carbon dioxide emissions) ও মোট ব্যবহৃত সম্পদের পরিমাণ (material footprint)।
ইউএনডিপির প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ১৯৯০ থেকে ২০১৯ সাল নাগাত বাংলাদেশের মানুষের প্রত্যাশিত গড় আয়ু বেড়েছে ১৪.৪ বছর, গড় শিক্ষাকাল বেড়েছে ৩.৪ বছর এবং প্রত্যাশিত শিক্ষাকাল বেড়েছে ৬ বছর। এছাড়া এসময়ে মাথাপিছু আয়ের পরিমাণও বেড়েছে প্রায় শতকরা ২২০.১ ভাগ।