সোমবার (২১ ডিসেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ আহ্বান জানায় ভয়েস।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, বিএটিবি’র পৃষ্ঠপোষকতায় গত ১৫ ডিসেম্বর ঢাকায় ব্যাটল অব মাইন্ডস’ (বিওএম) ২০২০ এর গ্র্যান্ড ফাইনাল অনুষ্ঠিত হয়। ব্যাটল অফ মাইন্ডসের মতো স্পনসরশিপ ইভেন্টের মাধ্যমে বিএটিবি যুবসমাজকে ধোঁয়াশার ফাঁদে ফেলে মৃত্যুর বিপণন করছে, যা জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকিস্বরূপ। এ ধরনের কর্মসূচি ধূমপান ও তামাকজাত পণ্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) (সংশোধন) আইন, ২০১৩ এর ৫-ধারার স্পষ্ট লঙ্ঘন এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন ফর টোব্যাকো কন্ট্রোল’-এর ধারা ৫.৩-এর পরিপন্থী।
আরও উল্লেখ করা হয়, বিএটিবির হস্তক্ষেপ এবং আইন-ভঙ্গকারী মনোভাব জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকি এবং এসডিজি অর্জনের ক্ষেত্রে সরকারের প্রতিশ্রুতিগুলির বিরুদ্ধে যায়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে তামাকমুক্ত করার ঘোষণা দিয়েছেন এবং ২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজি অর্জনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হওয়ায় এ ধরনের কার্যক্রম ও বক্তব্য প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা লঙ্ঘনের নামান্তর।
এ বিষয়ে ভয়েস-এর নির্বাহী পরিচালক আহমেদ স্বপন মাহমুদ জানান, বিভিন্ন প্রকার সিএসআর কার্যক্রমের মাধ্যমে তামাকজাত কোম্পানিগুলি প্রচার চালাচ্ছে, যা সুস্পষ্ট আইনের লঙ্ঘন।
একই সাথে তিনি আইন প্রণেতাদের বিষয়গুলো নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করতে এবং তামাকজাত কোম্পানিগুলোর প্রচার ও প্রসারের বন্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানান।
সংগঠনটির অভিযোগ, ধূমপান এবং তামাকজাত পণ্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন ২০০৫ এর ধারা ৫.১ এর তামাক প্রচার বা বিজ্ঞাপনের জন্য সমস্ত ধরণের স্পনসর বা পুরষ্কার নিষিদ্ধ। এমনকি তামাক সংস্থার নাম, সাইন, ট্রেডমার্ক বা সামাজিক ক্রিয়াকলাপের জন্য লোগো ব্যবহার করাও শাস্তিযোগ্য অপরাধ। কিন্তু তারা প্রতিনিয়ত আইন অমান্য করেই চলছে।