সোমবার (২১ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় দ্বিতীয় দিনের মতো এ কর্মসূচি পালন করছেন তারা। এর আগে রোববার বেলা ১১টা থেকে কৃষি ব্যাংক কর্মচারী ইউনিয়ন সিবিএ কর্তৃক আয়োজিত ডাটা এন্ট্রি অপারেটর পদে কর্মরত পরিদর্শক পদে পদোন্নতির দাবিতে এ অবস্থান কর্মসূচি শুরু হয়।
আন্দোলনরত কর্মচারীরা দাবি করেন, ২০১১ সাল থেকে এ পদে যোগদানের পর অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীরা দুইটি প্রমোশন পেলেও ডাটা এন্ট্রি অপারেটরদের কোনো প্রমোশন হয়নি। ২০১১ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে ডাটা এন্ট্রি বা কন্ট্রোল অপারেটর পদে ৩১২ জনকে নিয়োগ দেয়া হয়। এ নিয়োগের পরে তাদেরকে পরিদর্শক পদে শূন্য বিবেচনায় পদোন্নতি দেয়ার কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত পদোন্নতি দেয়া হয়নি।
তাদের দাবি, নিয়োগপ্রাপ্ত এসব কর্মচারীদের মধ্যে ভুলবশত ৬২ জনকে ডাটা এন্ট্রি সুপারভাইজার পদে পদোন্নতি দেয়া হয়। কর্মকর্তাদের এই ভুলের কারণে পরিদর্শক পদ শূন্য বিবেচনায় পদোন্নতি এখনো দেয়া হয়নি। সুনির্দিষ্ট কোনো আশ্বাস না পেলে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন তারা।
কৃষি ব্যাংক কর্মচারী ইউনিয়ন সিবিএ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মো. মমিনুল হক বলেন, ‘বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক চাকরি প্রবিধানমালা ২০০৮, কৃষি ব্যাংক কর্মকর্তা কর্মচারী পদোন্নতি নীতিমালা ২০১২, কৃষি ব্যাংকের অর্গানোগ্রাম ২০১৪ এর পদোন্নতি নীতিমালার আলোকে নিয়োগ দেয়ার দাবি জানাই। এ নীতিমালায় ‘‘২০১২ এর বিশেষ বিধানে উল্লেখ আছে’’ টাইপিস্ট কাম ডাটা এন্ট্রি অপারেটরদের পরবর্তী পদোন্নতি রোহিত প্রবিধানমালা অন্তর্ভুক্ত নিম্নমান সহকারীদের অনুরূপ বিধান অনুযায়ী সুপারভাইজার পদে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সম্পন্ন হবে। পর্যায়ক্রমে উক্ত পদোন্নতির মাধ্যমে কিংবা অন্য কোনোভাবে যুক্ত পদ শূন্য হলে সেগুলো বিলুপ্ত হবে।’
তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে কর্মকর্তা বরাবর আবেদন করা হলেও কর্তৃপক্ষ কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। এর ফলে অবস্থান কর্মসূচিতে বঞ্চনার শিকার ডাটা এন্ট্রি অপারেটর পদে কর্মরতদের পদোন্নতি না দেয়া পর্যন্ত বা সুনির্দিষ্ট আশ্বাস না দেয়া পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি চলবে।’