একইসঙ্গে আলোচিত সংগঠনটির ঢাকা ও চট্টগ্রাম মহানগরীর কমিটিও ঘোষণা করা হয়েছে। এতে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যের বিরোধিতার জন্য আলোচনায় আসা মামুনুল হককে ঢাকা মহানগরীর সেক্রেটারি করা হয়েছে।
গত ২৩ ডিসেম্বর (বুধবার) চট্টগামের হাটহাজারী মাদ্রাসায় এক বিশেষ বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।শনিবার সন্ধ্যায় হেফাজতের বর্তমান প্রচার সম্পাদক মাওলানা জাকারিয়া নোমান ফয়জী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
হাটহাজারী মাদ্রাসায় অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনটির প্রধান উপদেষ্টা ও জুনায়েদ বাবুনগরীর মামা আল্লামা শাহ মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী।
এতে উপস্থিত ছিলেন বর্তমান আমীর আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী, উপদেষ্টা মাওলানা নোমান ফয়জী, কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর মাওলানা তাজুল ইসলাম, মাওলানা মুহাম্মদ ইয়াহইয়া, মুফতি জসিম উদ্দিন, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা জুনাইদ আল হাবীব, মাওলানা মামুনুল হক, মাওলানা লোকমান হাকীম, মাওলানা নাসির উদ্দিন মুনির, মাওলানা হাবীবুল্লাহ আজাদী, মাওলানা ফজলুল করীম কাসেমী, মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ আইয়ুবী প্রমুখ।
বৈঠকে সংগঠনের নায়েবে আমীর মাওলানা আতাউল্লাহকে সিনিয়র নায়েবে আমীর, সহকারী মহাসচিব মাওলানা ফজলুল করীম কাসেমী, মাওলানা শফিক উদ্দীন, মাওলানা হাবীবুল্লাহ মিয়াজী ও মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ আইয়ুবীকে যুগ্ম মহাসচিব হিসেবে মনোনীত করা হয়।
মাওলানা জুনায়েদ আল হাবীবকে সভাপতি ও মাওলানা মামুনুল হককে সেক্রেটারী করে ঢাকা মহানগর কমিটি এবং মাওলানা হাফেয তাজুল ইসলামকে সভাপতি ও মাওলানা লোকমান হাকীমকে সেক্রেটারি করে চট্টগ্রাম মহানগর কমিটি ঘোষণা করা হয়।
গত ১৮ সেপ্টেম্বর ঢাকায় মারা যান হেফাজতের প্রতিষ্ঠাতা আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফী। এর পর ১৫ নভেম্বর হেফাজতের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ওই সম্মেলনে হেফাজতের আমির নির্বাচিত হন আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী এবং মহাসচিব নির্বাচিত হন আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী।