শনিবার (২৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে এই রোড পেইন্টিং করেন তারা।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলেন, পরীক্ষার সময় আবাসিক হলগুলো খুলে দিতে হবে। এক্ষেত্রে যদি কোন রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্ত আসে তাহলে আমরা রাষ্ট্র বিরোধী কোন কর্মকান্ড করবো না। তবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে শীঘ্রই আবাসন সংক্রান্ত জটিলতা দূর করতে হবে। আমরা দেখছি আবাসন ব্যবস্থা নিয়ে প্রশাসন এবং বিভাগীয় প্রধানদের মাঝে কাদা ছোড়াছুঁড়ি চলছে। তারা পরস্পরের জায়গা থেকে দায় এড়াচ্ছেন যদিও একাডেমিক কাউন্সিলে আবাসনের বিষয়টি বিভাগীয় প্রধানদের দেখতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এদিকে শিক্ষার্থীদের ৫টি দাবি সম্পূর্ণ মেনে না নিলে এ আন্দোলন চরম আকার ধারণ করবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
উল্লেখ্য, গত ১৭ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় আগামী ১৭ জানুয়ারি থেকে অনার্স শেষ বর্ষ এবং মাস্টার্সের চূড়ান্ত পরীক্ষা নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষার্থীরা প্রশাসনকে ৫দফা দাবি জানায়।
দাবিগুলো হলো- পরীক্ষার সময় স্বাস্থ্যবিধি মেনে আবাসিক হল খুলে দেয়া, পরীক্ষার পূর্বে প্রশাসনের দেয়া কথামতো অফলাইনে রিভিউ ক্লাস নিশ্চিত করা, যাবতীয় ফি ৭০ শতাংশ মওকুফ করে দেয়া, পরীক্ষা চলাকালে ক্রেডিট প্রতি ২দিন করে বিরতি দেয়া, উপস্থিতির জন্য ১০০ শতাংশ নম্বর দেয়া।