তিনি বলেন, আমরা এই উপমহাদেশে বাস করি। আমাদের ভৌগোলিক অবস্থানটা এত চমৎকার- একটা জায়গায় আমরা যদি শুধু আশপাশের দেশগুলোর সাথে একটা ভালো যোগাযোগ স্থাপন করতে পারি তাহলে ব্যবসা-বাণিজ্যে সবদিক থেকে উন্নত হতে পারে। সেদিকে লক্ষ্য রেখেই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
আজ রোববার (২৭ ডিসেম্বর) বেলা ১১টা ৪৭ মিনিটে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উড়োজাহাজটির বাণিজ্যিক যাত্রার উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
উদ্বোধনকালে সশরীরে উপস্থিত থাকতে না পারায় শেখ হাসিনা বলেন, খুব দুঃখ লাগছে, যেতে পারছি না, দেখতে পারছি না। করোনার সময় নিজে প্রতিটি অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পারছি না, তাই ভার্চুয়াল অর্থাৎ ডিজিটাল পদ্ধতিতে কার্যক্রম পরিচালনা করতে হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, যেটা আমরা নিই সেটা সবচেয়ে আধুনিক ও উন্নতমানের। কিন্তু দুর্ভাগ্য আমাদের একটাই, আমরা যখন এতগুলো বিমান কিনে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে যোগাযোগ করবো বা দেশের অভ্যন্তরে যোগাযোগ করবো কিন্তু করোনার কারণে তা সম্ভব হচ্ছে না।
তিনি বলেন, প্রথমবার ক্ষমতায় এসে ঢাকা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরকে উন্নতকরণের পাশাপাশি সিলেট ও চট্টগ্রাম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর করি। ১৯৯৬ সালের ঢাকা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের দুরবস্থা ছিল। আমরা উদ্যোগ নিয়ে আমূল পরিবর্তন করি। তখন বোর্ডিং ব্রিজ বা কিছুই ছিল না। সবকিছু্ই আওয়ামী লীগ সরকারের করা। এখন আমরা সেটাকে আরও উন্নত করে দিচ্ছি। থার্ড টার্মিনালও নির্মাণ হচ্ছে। তাছাড়া কক্সবাজারে আন্তর্জাতিক মানের বিমানবন্দর হিসেবে উন্নত করা হচ্ছে। সৈয়দপুর, সিলেট ও রাজশাহীসহ অন্যান্য বিমানবন্দরকে উন্নত করা হচ্ছে।