সূত্র মতে, পুনরায় লেনদেন শুরু হতে যাওয়া রহিমা ফুডের ক্যাটাগরি হবে ‘এ’, ডিএসইতে কোম্পানিটির ট্রেডিং কোড হচ্ছে : “RAHIMAFOOD” এবং কোম্পানি কোড হচ্ছে : ১৪২৮১।
এর আগে চলতি বছরের ১২ নভেম্বর বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) উপপরিচালক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম সাক্ষরিত সিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক বরাবর কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেনের স্থগিতাদেশ দ্রুত প্রত্যাহার করে তা জানানোর জন্য চিঠি দেয়। চিঠিতে বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে লেনদেন স্থগিতাদেশ দ্রুত প্রত্যাহার করে কমিশনকে জানাতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন পুনরায় চালুর বিষয়ে জানাতে বলা হয়েছে। চিঠি ইস্যুর ৩ কার্যদিবসের মধ্যে এসব জানাতে বলা হয়েছিল।
একইদিনে রহিমা ফুডের তালিকাচ্যুতিকে কেন্দ্র করে কয়েকটি বিষয়ে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) কর্তৃপক্ষের কাছে ব্যাখ্যা ও সুপারিশ চেয়ে চিঠি দিয়েছে বিএসইসি। চিঠিতে বলা হয়েছে, কোম্পানির অস্বেচ্ছায় তালিকাচ্যুতির ক্ষেত্রে ডিএসইর বিস্তৃত কোন পদ্ধতি আছে কিনা। এছাড়া তালিকাচ্যুতির পূর্বে বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষার জন্য স্টক এক্সচেঞ্জের দায়িত্ব সম্পর্কে জানাতে বলা হয়েছে।
এছাড়াও তালিকাচ্যুত রহিমা ফুড ও কোম্পানিটির পরিচালকদের বিরুদ্ধে লিস্টিং আবেদন ও সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অধ্যাদেশ ১৯৬৯ এর ধারা ৯(৪) এর কোন শর্ত পরিপালন না করায় কোন ব্যবস্থা নিয়েছে কিনা জানতে চেয়েছে কমিশন। একইসঙ্গে তালিকাভুক্তির চুক্তি ও তালিকাভুক্তিকালীন সময়ে প্রদত্ত কোন শর্ত ভঙ্গ করার জন্য কোম্পানি, ব্যবস্থাপনা পরিচালক/প্রধান নির্বাহি কর্মকর্তা/ স্বীকৃত প্রতিনিধির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে থাকলে, তাও জানাতে বলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসায়িক কার্যক্রম বন্ধ থাকায় রহিমা ফুড করপোরেশনকে ২০১৮ সালের ১৮ জুলাই তালিকাচ্যুত করার সিদ্ধান্ত নেয় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)। তবে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ কর্তৃপক্ষ রহিমা ফুডকে তালিকাচ্যুতির পরিবর্তে লেনদেন স্থগিত করে রেখেছে। সিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ার সর্বশেষ ১৭৫ টাকা ৪০ পয়সায় লেনদেন হয়।