আজ বুধবার (৩০ ডিসেম্বর) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সিং এর মাধ্যমে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর মিডশিপম্যান ২০১৮ আলফা এবং ডিইও ২০২০ ব্রাভো ব্যাচের শীতকালীন রাষ্ট্রপতি কুচকাওয়াজ – ২০২০ অনুষ্ঠানে যুক্ত হয়ে এ সব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন করছি। দুর্ভাগ্য হলো আমরা ব্যাপকভাবে উদযাপন করবো বলে কর্মসূচি নিয়েছিলাম, কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে আজ সমগ্রবিশ্ব স্থবির। এই সংক্রমণ যেন আমাদের দেশে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে না পড়ে, দেশের মানুষের কথা চিন্তা করে আমাদের কর্মসূচি সীমিত আকারে ও ভার্চুয়ালি করে যাচ্ছি।
কিন্তু আমরা যে ব্যাপকভাবে করতাম, সেটা আর হয়নি। ২০২০ সাল শেষ হচ্ছে, আসবে ২০২১, আমাদের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী। কাজেই মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর কর্মসূচিও আমরা বাস্তবায়ন করবো সেই সীমিতভাবেই; ভার্চুয়ালি ও যেখানে বেশি সমাগম হবে না।’
মুজিববর্ষ ব্যাপকভাবে উদযাপন করতে না পারলেও বিশ্বদরবারে বাংলাদেশ যেন মাথা উঁচু করে চলতে পারে সে জন্য কতগুলো কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মুজিববর্ষে যেহেতু ব্যাপক কর্মসূচি নিতে পারিনি, কিন্তু কতগুলো কর্মসূচি আমরা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি। যেগুলোর দেশের জন্য, জাতির জন্য সব থেকে বেশি কল্যাণকর। সেটা হচ্ছে ঘরে ঘরে আমরা বিদ্যুতের আলো জ্বালবো। ইতোমধ্যে আমরা প্রায় ৯৯ শতাংশ মানুষের ঘরে বিদ্যুৎ দিতে সক্ষম হয়েছি। শতভাগ আমরা বিদ্যুৎ দেব। বাংলাদেশের একটি মানুষও গৃহহীন থাকবে না। এটাই আমাদের নীতি। সেই নীতিমালা নিয়েই আমরা বাংলাদেশের প্রত্যেকটা এলাকায় যারা ভূমিহীন, গৃহহীন; তাদের সরকারিভাবে ঘর তৈরি করে দিচ্ছি।’