সেখানে তিনি লিখেন, বছরের শেষ দিনে আদালতের সমন পেলাম। কোন একজন স্বনামধন্য গায়িকা মামলা করেছেন। এখনো মামলার কপি উত্তোলন করিনি তাই সঠিকভাবে কোন তথ্য দিতে পারছি না। এতোটুকু জানি ময়মনসিংহ গিয়ে মামলা ফেস করতে হবে। হাতে কিছু সময় আছে।
এদিকে কপিরাইট অফিসের যাদুতে মুগ্ধ আমি। তাদের ভুলভাল দিকনির্দেশনা এখন গলার ফাঁস হয়ে গেছে। ওখানেও অযাচিত ঝামেলায় জড়াতে হচ্ছে। এসব ঝামেলা কখনো আমি চাইনি, চাইও না। আপাতত ভূক্তভোগী তবে জয় নিশ্চিত ইনশাআল্লাহ।
মামলা আমার ভাল লাগে না। আবার রাশি গণ্ডগোলে মুক্তির উপায়ও একমাত্র যুদ্ধ। যতই লুকিয়ে বেড়াতে চাই ততোই আষ্ঠেপৃষ্ঠে জড়িয়ে ধরে অযাচিত ঝামেলাগুলো। আমার বিরুদ্ধে কোনরকম অপরাধ প্রমাণ করার কিছু আছে তা আপাতদৃষ্টিতে দেখিনা। কোর্টকাচারী লম্বা চওড়া প্রক্রিয়া। রসদ আছে প্রচূর, মামলা আমিও করতে পারি, কারো বিরুদ্ধে এসব প্ল্যান নিয়ে ভাবার সময়ও নাই। সেক্ষেত্রে আরেক পক্ষের দাবড়ানী সহ্য করাটাই শ্রেয় মনে করেছি। আমি মামলা দিলে মানুষ বলবে- এগুলো আসিফের সাথে যায় না। অসহনীয় অত্যাচার সহ্য করে যাচ্ছি সহজাত অভ্যাসের বাইরে গিয়ে। এখন আমার অনেক ধৈর্য্য, তবে এটা দূর্বলতা নয়।
এতো ঝামেলা আমার সাথেই কেন হয়? এই প্রশ্ন আসা স্বাভাবিক। আমি নিজেও বিরক্ত এবং বিব্রত। সত্য কথা বলার সাহস রাখুন, ঝামেলা হবে আপনার নিশ্চিত বন্ধু। সব সুবিধা নিয়ে মুখ বন্ধ রাখুন, কাপুরুষের মত মৃত্যুস্বাদ গ্রহণ করুন। আরো একদিন আমি জিতবো, বারবার জিতেই যাবো পুরনো অভ্যাসে। একটু লম্বা সময় নিতে হবে এই যা, ধৈর্য্য তো ধরতেই হবে... মাঝে মাঝে মনে হয়ে সুলতান বাদশাহ সম্রাটদের আমলে থাকলে এতো সময় নষ্টই হতো না।