জানা গেছে, শনিবার (২ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টার দিকে নিজ বাড়িতে গলায় ফাঁস দেন তিনি। পরে পরিবারের লোকজন উদ্ধার করে নিকটস্থ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
আইন ও ভূমি ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষক মেহেদী হাসান জানান, ফাবিহার খালার বিবাহ বিচ্ছেদের পর থেকে তাদের বাড়িতে থাকত খালাত বোন। খালাতো বোনকে নিয়ে মায়ের সাথে প্রতিনিয়ত কথা কাটাকাটি হতো ফাবিহার। মাঝে মধ্যে ফাবিহা, ফাবিহার মা ও তার বাবার সাথে ঝগড়া হতো। ফাবিহার অভিযোগ ছিল, মা খালাতো বোনকে বেশি প্রাধান্য দিত। সর্বশেষ শুক্রবার ফাবিহার মা তাকে বকাঝকা ও মারধর করেন। এতে তার বাবা-মায়ের মধ্যে কলহের সৃষ্টি হয়। পারিবারিক কলহ ও মায়ের ওপর অভিমান থেকে ফাবিহা আত্মহত্যা করেছে বলে ধারণা প্রতিবেশীদের।
তিনি আরও জানান, সুহার মা তাঁকে বকাঝকার বিষয়টি স্বীকার করেছেন। তবে এ থেকে আত্মহত্যা করতে পারে বিষয়টি ভাবতে পারেননি।
ইবির ল অ্যান্ড ল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট বিভাগের প্রভাষক শাহিদা আক্তার আশা বলেন, সুহা খুবই সৃজনশীল একটি মেয়ে ছিল। বিভাগের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ওর সক্রিয় অংশগ্রহণ ও নেতৃত্বের মাধ্যমে সবার খুব প্রিয় হয়ে উঠেছিল। এমন মেধাবী একজন শিক্ষার্থীর এই অকাল মৃত্যুতে আমরা খুবই মর্মাহত।
ইবির প্রক্টর অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, আমি বিষয়টি শুনেছি। খুবই দুঃখজনক। বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া একজন শিক্ষার্থীর এমন মৃত্যু কোনোভাবেই কাম্য নয়। ঘটনাস্থলে বিভাগের শিক্ষকরা গিয়েছেন তাঁদের সাথে কথা বলেছি ও খোঁজ-খবর রাখছি।