বাজার বিশ্লেষকদের মতে, কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ব্যাংকগুলোকে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের জন্য ২০০ কোটি টাকার বিশেষ তহবিল গঠনের সুযোগ দেয়ায় বিনিয়োগকারীদের আস্থা বেড়েছে। ফলে বাজারে টানা ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা দিয়েছে। সেই সাথে কিছুটা মূল্য সংশোধন হচ্ছে। এতে বিনিয়োগকারীদের আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান মূল্য সূচক সাড়ে ৬ হাজার পয়েন্টে যাওয়া স্বাভাবিক।
আজ সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে বুধবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচকের উত্থানে লেনদেন শেষ হয়েছে। আগের দিন লেনদেন হাজার কোটি টাকা ছাড়ালেও আজ কিছুটা কমেছে। একইসাথে কমেছে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দর।
ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
দিনশেষ ডিএসই ব্রড ইনডেক্স আগের দিনের চেয়ে ১৮ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৪৭৫৮ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৬ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১০৮৭ পয়েন্টে এবং ডিএসই–৩০ সূচক ৯ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১৬০০ পয়েন্টে।
এ সময় লেনদেন হওয়া ৩৫৬টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১৪৩টির, দর কমেছে ১৮০টির এবং দর অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৩টির।
ডিএসইতে আজ টাকার পরিমাণে লেনদেন হয়েছে ৮৩৭ কোটি ১৫ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট। যা আগের দিন থেকে ১৮৪ কোটি ১৯ লাখ টাকা কম। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ২১ কোটি ৩৪ লাখ টাকার।
অপরদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই এদিন ৪৭ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪ হাজার ৫৫২ পয়েন্টে।
দিনভর সিএসইতে হাত বদল হওয়া ২৬১টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শেয়ার দর বেড়েছে ১১৭টির, কমেছে ১০৯টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৫টির দর। আজ সিএসইতে ৮৬ কোটি ৩৬ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।